ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

“ইতিহাস সৃষ্টির সেই ১৮ মিনিটকে স্মরণ করল ডবলমুরিং থানা”

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসে ১৯৭১ এর ৭ মার্চ। সেদিনের রেসকোর্স ময়দানে বিকেল ২টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ৩ মিনিট পর্যন্ত ১৮ মিনিট স্থায়ী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণেই স্বাধীনতার রূপরেখা এঁকে দেয়। ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করল চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা।

পাশাপাশি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে আনন্দ উদযাপনও করা হয় একই অনুষ্ঠানে। বিশেষ এই দিনে স্মৃতিচারণ করেন ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে স্বশরীরে উপস্থিত থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস।

ডবলমুরিং থানার উপ পরিদর্শক কিশোর মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।

.

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের সময় চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ, দৈনিক সমকাল চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সারওয়ার সুমন।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের স্মৃতিচারণ করেন ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) পশ্চিম জোনের উপ কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়ারিশ।

কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. অনুপম সেন বলেন, ‘ ১৯৪৮ সাল থেকেই আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি স্বাধীনতার মন্ত্র পাই। সেই মন্ত্রেই সশস্ত্র হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশ। ‘ তিনি বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধু প্রতি পাড়া মহল্লায় সংগ্রাম কমিটি গঠন করতে বলেন। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও সংগ্রাম কমিটি গঠন করি। ১৭ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিনই লালদিঘী মাঠে কমিটির কর্মসূচি পালন করা হত।’ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই এত উন্নয়ন করতে পারছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ এক কোটি টন শষ্য উৎপাদন করত, এখন চার কোটি টন শষ্য উৎপাদন করে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু করেছে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল করছে, ইকোনমিক জোন করছে, দুই হাজার ডলারের উপরে মাথাপিছু আয় হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে- এগুলো সবই হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা চলছে তা অব্যাহত রাখতে পারলে ২০৫০ এর মধ্যেই আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব।’

ইউনুস বলেন, ‘পাকিস্তানিদের অস্ত্র ছিল, গোলাবারুদের বিপরীতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই ছিল সবচেয়ে বড় মরণাস্ত্র। এই ভাষণের আগে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ছিল না, সমরাস্ত্র ছিল না। কিন্তু এই ভাষণের পর বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষই সৈনিক হয়ে যায়। বাঙালির প্রতিটি হাতই তখন হয়ে উঠে অস্ত্র। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণই আমাদের স্বাধীনতার রূপরেখা এঁকে দেয়।’ চট্টগ্রামে স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ আমাদের অস্ত্র ছিল না। কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল খালেক পুলিশের অস্ত্রাগার খুলে আমাদের দেন। এই অপরাধে হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করে। ‘ ওসি আব্দুল খালেকের সম্মানে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি এলাকার যেকোনো একটি সড়কের নাম তার নামে নামকরণের দাবি জানান।

স্বাগত বক্তব্যে ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘ দেশের স্বাধীনতার জন্য যেভাবে বাংলাদেশ পুলিশ রাজারবাগ থেকে প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিল। একইভাবে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, মানুষের জানমাল নিরাপত্তা রক্ষায়ও বাংলাদেশ পুলিশ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘ বাংলাদেশের যে অদম্য অগ্রযাত্রা, সে অগ্রযাত্রায় সহায়ক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামে বাহাদুর, জাফরুল হায়দার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print