
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীরে কোম্পানীগঞ্জে মির্জা কাদেরের অনুসারীদের হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণে উপজেলা আ.লীগের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভায় হামলা চালিয়েছে বির্তকিত আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র কাদের মির্জার অনুসারিরা। এসময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে অন্তত ৮জন আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় দু’পক্ষের অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, মো.আজিজ খোকন (৫০), মো.করিম (৪৫) গুলিবিদ্ধ মো.রাজিব হোসেন (২৪), মো. এমরান হোসেন (২৪), জিংকু (২০)।
উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর মির্জা কাদেরের নেতৃত্বে হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্তরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভার শেষ মুহূর্তে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
কাদের মির্জার ভাগনে খিজির হায়াত খাঁন গ্রুপের অন্যতম নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর কাদের মির্জার নেতৃত্বে হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রুপালী চত্তরে প্রতিবাদ সভা চলছিল।
প্রতিবাদ সভার একেবারে শেষ মুহূর্তে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা বনফুলের মাঝখানের গলি থেকে সভায় ককটেল ও গুলি ছোঁড়ে এবং সভার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক ককটেল বিষ্ফোরণ করে একটি নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ সময় রাজিব নামে এক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় এবং একজন বোমার স্পিøন্টাে আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সভাস্থল থেকে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ এক সাথ হয়ে মির্জা কাদেরের অনুসারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে মাকসুদাহ গার্লস স্কুল রোডে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা, ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ দু’পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুরো বসুরহাট বাজার জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ফোনে জানান, গতকাল যারা মুজিব শত বর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাংচুর করেছে জনগণ আজকে তাদের প্রতিহত করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিনার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।