ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আসামী ধরার নামে নিরীহ পরিবারে ওপর ডবলমুরিং পুলিশের তান্ডবলীলা!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আসামী ধরার নামে এক নিরীহ পরিবারের নারী-পুরুষদের উপর নির্যাতন, ভাঙচুর করে তান্ডবলীলা চালানো অভিযোগ উঠেছে সিএমপির ডবলমুরিং থানা পুলিশ বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ নজরুল ইসলামের আগ্রাবাদ বাসায় মধ্যযুগীয় কায়দায় তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ রাইফেল দিয়ে আঘাত করে এই নারী নেত্রীর হাত ভেঙ্গে দেয়।

দেবরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে গ্রেফতারী পরোয়ানার কাগজ দেখতে চাওয়ায় পুলিশ জাবেদ নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও সাবেক নারী কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করে সাবেক নারী কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদের হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসের দিন একজন নারী নেত্রীর উপর পুলিশের এমন বর্বর নির্যাতনের ঘটনা সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে

শুধু নামের মিল থাকায় কোন রকম ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ সাইদুল ইসলামকে আটক করে।

শুধু নামের মিল থাকায় কোন রকম ওয়ারেন্ট ছাড়াই সম্ভ্রান্ত একটি পরিবারে একজন সদস্যকে চোর ডাকাতের মত মারধর করে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় জাবেদ নজরুলের ছোট ভাই সাইদুল ইসলামকে। অবশ্য পরে পুলিশ ভুল বুঝতে পেরে সাইদুল ইসলামকে থানা থেকে ছেড়ে দিলেও তার এবং তার পরিবারের উপর যে নির্যাতন এবং ভাঙচুর করেছে তার দায় এড়াতে পারে না থানা পুলিশ।

ঘটনার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ নজরুল অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে পুলিশের একটি দল এসেই গেইটে আঘাত করতে থাকে। গেইট খুলে দেয়ার পর অকথ্য ভাষায় গালি দিতে দিতে ঘর ভাঙচুর করে। আমার স্ত্রী সাবেক কাউন্সিলর ফারহানাসহ ঘরের কয়েকজনকে মারধর করতে থাকে। পরে মারতে মারতে আমার ভাইকে থানায় নিয়ে যায়। প্রায় ১২ ঘণ্টা লকআপে বন্দি করে রাখে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কী কারণে বাসায় ভাঙচুর করেছে এবং ছোট ভাইকে আটক করে আবার ছেড়ে দিয়েছে কিছুই জানি না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

গেইটের তালা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

অবশ্য ডবলমুরিং থানা পুলিশ ভুল অভিযানের কথা স্বীকার করলেও হামলা নির্যাতন ভাঙচুরের কথা অস্বিকার করেছে।  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন পাঠক ডট নিউজকে বলেন- নারী কোন আসামী ধরতে যায়নি।  নারী আসামী ধরতে গেলেই নারী পুলিশ অভিযানে যেতো।  একজন পুরুষ আসামী ধরতে গেছিল পুলিশ টিম। যার নাম ঠিকানা ঠিক থাকলেও আমরা যানতে পারি যাকে ধরা হয়েছে তিনি প্রকৃত আসামী না।  পরে আমরা ভুল বুঝতে পেরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।  নারীরা পুলিশকে বাধা দিয়ে সিনক্রিয়েট করেছে।  বরং পুলিশ ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।

.
.

সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার ওয়ারিশ আহমেদ বলেন, ‘সাবেক এক কাউন্সিলরের বাসায় অপ্রীতিকর কিছু হয়েছে বলে শুনেছি। এরই মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় পুলিশের কোন সদস্য অপরাধ করে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক কিশোর মজুমদার বলেন, একটি ওয়ারেন্টের সাথে নাম ঠিকানা মিল থাকায় সাবেক কাউন্সিলরের ছোট ভাইকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে বুঝতে পারি এতে আমাদের ভুল হয়েছে। এছাড়া তাকে আটক করার সময় কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ জন্য তাদের সরি বলেছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print