ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান।

আগুনে দগ্ধ হয়ে দুই শিশুসহ এ পর্যন্ত ৭ জন রোহিঙ্গা মারা গেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা জানান, গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পার্শ্ববর্তী অন্য ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।

সন্ধ্যার আগেই আগুন একে একে ৮ নম্বর ওয়েস্ট ৮, ১০ সর্বশেষ ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এ সময় দমকল বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন এর সদস্য রেডক্রিসেন্টের টিম ও স্থানীয় গ্রামবাসী যোগ দেয়। রাত ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

তিনি জানান, আগুনে রোহিঙ্গাদের ১০ হাজারেও বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধরা হলেও এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এছাড়াও পুড়ে গেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও অফিস ও পুলিশ ব্যারাক।

অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাগোয়া বাংলাদেশি বাসিন্দাদের দুই শতাধিক বাড়ি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমদ নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এখন অনেকটা গৃহহীন। একইভাবে দুই শতাধিক বাংলাদেশি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত দুই শিশুসহ ৭ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে। মৃতদেহগুলো একদম পুড়ে গেছে।

উখিয়ার বালুখালী ৮নং এপিবিএন এর অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. শিহাব কায়ছার জানিয়েছেন, আগুনে বালুখালীতে অবস্থানরত ৪নং এপিবিএনের ব্যারাক আংশিক পুড়ে গেছে।

তবে অস্ত্র ও মূল্যবান আসবাবপত্র নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আগুনে রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর ছাড়াও বেশ কিছু এনজিও অফিস, স্কুল-মাদ্রাসা পুড়ে গেছে।
উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাত নিয়ে এখনো তেমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।তিনি জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে জানতে চাইলে তারাও নানা তথ্য দিয়ে আসছে। এমনকি রোহিঙ্গারাই একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে আসছে।
তিনি বলেন, তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসল ঘটনার তথ্য।

এদিকে দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল হারিয়ে এক কাপড়ে আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে।
আশ্রয়হারা লোকজন হারিয়েছে তাদের ক্যাম্পের ঝুপড়ি ঘরের সব মালামাল। আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় গ্রামবাসীর বসতভিটাতে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print