
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজেত ইসলামের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ও থানায় আক্রমনের ঘটনায় পৃথক ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ৫দিন পর মঙ্গলবার রাতে এসব মামলা করা হয় পুলিশ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় ৪টি, পটিয়া থানায় ১টি এবং হাটহাজারী ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা দায়ের করেন দুটি মামলা।
তবে ৭ মামলায় আড়াই হাজার আসামী দেখানো হলেও মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয় নি। থানা ভবনে হামলা, ভূমি অফিসে ভাঙচুর, ডাকবাংলোয় আগুন, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে এসব মামলা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মসিউদৌলা রেজা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলাগুলো তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের সনাক্ত করা হবে।
হাটহাজারী থানা পুলিশ জানায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গত ২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের তাণ্ডবের ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের নাজির একরামুল হক শিকদার এবং সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আক্তার কামাল চৌধুরী বাদি হয়ে দুটি ও হাটহাজারী থানায় হামলা, পুলিশের কাজে বাঁধা, পুলিশ সদস্যদের মারধর অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে। থানায় হামলার অভিযোগে করা মামলায় অজ্ঞাত ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার জনকে করা হয়েছে। ভূমি অফিসের করা দুই মামলায় অজ্ঞাত ২০০ জন করে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে মামলার এজাহারে হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিলেও টাকার অংকে কত তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে হেফাজতকর্মীরা মিছিল বের করে। এ সময় মিছিল থেকে হাটহাজারী থানায় আক্রমন করে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ গুলি চালালে হেফাজতে ইসলামের ৫ কর্মী নিহত হয়।
পরে তারা হাটহাজারী উপজেলা ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ভূমি অফিসে নথি বের করে এনে তাতে আগুন দেওয়া হয়। তাদের অগ্নিসংযোগ থেকে বাদ যায়নি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায় বলে জানানো হয় প্রশাসন থেকে।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ‘মাদ্রাসার ছাত্ররা ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে হাটহাজারীবাসীর অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে। যার কারণে সবাইকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।’