
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মোস্তাক মিয়া চৌধুরী (৫০) নামে এক ওমান প্রবাসীকে অপহরণ ঘটনার অভিযোগে জনৈক কাঞ্চন দাশ ও তার সহযোগী সন্ত্রাসী জিকু বাহিনীর প্রধান জিকুসহ ৬ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত-(৫) এ মোস্তাক মিয়া চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেন্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলাকে তদপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী মানবাধিকার নেতা জিয়া হাবীব আহসান পাঠক ডট নিউজকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন- কাঞ্চন দাশ (৫০) পিতা মৃত বেরতি মোহন দাশ, জামিজুরি দোহাজারী, কাঞ্চন দাশের ভাগিনা পলাশ বিশ্বাস (৩৩ ) পিতা-/অজিত বিশ্বাস। ভাড়া করা সন্ত্রাসী মোঃ জিকু (৩২ ), পিতা-মৃত নুরু মেম্বার, মোঃ মিজান (৩০) পিতা অজ্ঞাত (৩) মোঃ মোরশেদ (৩৫) পিতা অজ্ঞাত, সহিদুল ইসলাম প্রঃ বাবুল (৩৩) পিতা মৃত আবদুল করিম সর্ব থানা-চন্দনাইশ চট্টগ্রাম।
দায়েরকৃত অভিযোগে বাদী আদালতকে জানান গত ২৬/০৩/২০২১ ইং সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭ টার দিকে চন্দনাইশ থানাধীন দোহাজারী কাঁচা বাজারে অবস্থানকালীন সময়ে তাকে (মোস্তাক আহমদ) উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পনা মতে কাঞ্চন দাশের নির্দেশে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে প্রথমে কসাই পাড়া নামক স্থানে এবং পরবর্তীতে হাসেমপুর রেল লাইনের পার্শে নির্জন পাহাড়ে নিয়ে যায়।
স্বামীকে অপহরণের খবর পেয়ে প্রবাসী মোস্তাকের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ঘটনা জানায়। পরবর্তিতে পুলিশের তৎপরতায় সন্ত্রাসীরা রাত ১২টার দিকে প্রবাসী মোস্তাককে স্থানীয় দোহাজারী পুলিশ কেন্দ্রের পাশে ফেলে যায়।
বাদী মোস্তাক মিয়া চৌধুরী জানায় তিনি দীর্ঘদিন ওমানে ছিলেন। আসামী কাঞ্চন দাশের একটি মাছের খামারে তিনি ২৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন পরবর্তীতে উক্ত টাকা লাভসহ ফেরত প্রদানের জন্য আসামী কাঞ্চন দাশ বাদীকে ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে। উক্ত চেক ইতিপূর্বে আপোষের কথা বলে থানায় জমা নিয়ে সাতকানিয়া থানা কর্তৃপক্ষ জিডি মূলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামে প্রেরণ করলে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার জিম্মায় প্রদান করেন।
আসামী কাঞ্চন দাশ কোন ভাবেই চেক নিতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে এই অপহরণ পরিকল্পনা করে এবং এজন্য স্থানীয় জিকু বাহিনীকে ভাড়া করে। বাদীকে অপহরনের পর তার নিকট থেকে আসামী কাঞ্চন দাশের প্রদত্ত চেক এবং কতগুলো অলিখিত নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করে।
আদালতে বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মানবাধিকার আইনজীবীবৃন্দ যথাক্রমে এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী , এডভোকেট মোহাম্মদ বদরুল হাসান।