ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

লকডাউনে মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে হাটহাজারীত বিক্ষোভ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

হাটহাজচারীতে বিক্ষোভ।

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরুর প্রথম দিনে সীমিত আকারে হলেও মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে আজ সোমবার বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এসময় ব্যবসায়ীরা ইউএনও কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে নিজেদের দাবী জানান।

এদিকে আজ সোমবার থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া মার্কেট-শপিংমল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে হাটহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন মাকের্টের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেছেন। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং ইউএনও কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এই সময় তারা ‘লকডাউন মানি না’ বলে শ্লোগান দেন।

পরে হাটহাজারী পৌরসভা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম, কাচারী সড়ক বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বাবু, ব্যবসায়ী নেতা ওজায়ের আহমেদ হামিদি, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ শুক্কুর সহ নেতৃবৃন্দরা হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাত হোসেন এবং হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এসময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা মানবিক দিক বিবেচনায় সীমিত আকারে দোকানপাট খোলা রাখার দাবী জানান।

পরে ইউএনও রুহুল আমিন, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন এবং হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ইউএনও রুহুল আমিনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়া ব্যবসায়ীদের সাথেও কথা বলেন। এসময় ইউএনও ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠকে আলোচনার কথা তুলে ধরে হাটহাজারী পৌরসভা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, লকডাউনের ব্যাপারে সরকারের যে সিদ্ধান্ত সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।
ব্যবসায়ীদের দাবীর ব্যাপারে ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। এছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের সাথেও আলাপ করা হয়েছে। উনাদের সাথে এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আলাপ চলছে জানিয়ে, সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।

বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী নেতা ওজায়ের আহমেদ হামিদী জানান,, ‘ব্যবসায়ীরা সারা বছর দোকান খুলে বসে থাকলেও ব্যবসা হয় ঈদের আগের দুই মাসে। গত বছর রোজার মাসে লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এবারও যদি এই সময় মার্কেট বন্ধ থাকে, তাহলে তো ব্যবসায়ীদের পথে বসে যেতে হবে।” তিনি দাবি করেন, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার সকাল থেকেই দোকান মালিক, ব্যাবসায়ী ও কর্মচারীরা পৌরসদরের কাচারী সড়কের সুপার সিটি, এন জহুর শপিং সেন্টার, আমীর এর প্লাজা, আলী মমতাজ মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটের অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় তারা লকডাউনের সময় অন্তত চার ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার সুযোগ দেয়ার দাবি করেন।

বাংলাদেশে গত বছরের ২৬শে মার্চ থেকে দুই মাস সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন সব মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ ছিল। যার কারণে ব্যবসায়ীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়।

ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এবারও যদি পরবর্তীতে লকডাউনের সময় বাড়ানো হয়, তাহলে ঈদের মৌসুমের এই সময়ে তারা বিপুল অংকের ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখোমুখি হবেন।

.

লোহাগাড়ায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ:

লোহাগাড়া বটতলীর ব্যবসায়ীরা লকডাউনের প্রতিবাদে ও মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন। সরকারকর্তৃক ঘোষিত লকডাউনে জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া মার্কেট-শপিংমল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) এরই প্রতিবাদে লোহাগাড়া দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বটতলী মোটর স্টেশনে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেছেন। এ সময় লোহাগাড়া বণিক সমতির সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সারা বছরের ব্যবসা হয় এই সময়ে, ঈদের আগের দুই মাসে। গত বছর আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এবারও যদি এই সময় মার্কেট বন্ধ থাকে, তাহলে তো আমাদের পথে বসে যেতে হবে।

তারা দাবি করেন, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক।

এদিকে খবর পেয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবিব জিতু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ।

ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি তুলে ধরে বলেন, এবারও যদি পরবর্তীতে লকডাউনের সময় বাড়ানো হয় তাহলে ঈদের মৌসুমের এই সময়ে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখোমুখি হবেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print