ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বুধবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ আগামী বুধবার থেকে যে ‘কঠোর লকডাউনের’ ঘোষণা দিয়েছে, তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানাচ্ছে, বাংলাদেশে তারা এক সপ্তাহের জন্য সকল যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের আনাগোনা নিষিদ্ধ করছে।

তবে আজ (সোমবার) ও আগামীকাল আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল করবে। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে কোন বিমান চলবে না।

প্রাথমিকভাবে ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আগে থেকে অবশ্য অভ্যন্তরীন ফ্লাইট বন্ধ আছে। সেটিও এই সময়ে বন্ধই থাকছে।

গত পাঁচই এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী সাতদিনের যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন থেকেই অভ্যন্তরীণ সব রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রবিবার সেই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ এখন প্রতিদিন পাঁচ হাজারের বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন, মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এক সপ্তাহের লকডাউন দেয়া হয়েছিল।

লকডাউন সত্ত্বেও যানবাহন চলেছে, অফিস-কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। শেষ দিকে শপিংমল ও শহরের মধ্যে গণপরিবহনও চালু করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় এক সপ্তাহের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।

বেবিচক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকলেও এই সময় মানবিক সহায়তার, ত্রাণ, কার্গো বা বিশেষ বিবেচনার বিমান চলাচল করতে পারবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের যাওয়ার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। আর বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

লকডাউনের কারণে বাংলাদেশে দূরপাল্লার যানবাহন ও নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার থেকে যে কঠোর লকডাউনের কথা বলা হয়েছে, সোমবার নাগাদ সেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

গত বছর বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ২২শে মার্চ থেকে থেকে ১০ রুটের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

প্রথমে ১০ দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও পরবর্তীতে সেটা কয়েক দফা বাড়িয়ে দুইমাস পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকে।

বিদেশগামীদের উদ্বেগ:
লকডাউন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার এই খবরে রাগত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই।

বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সে তার কাতারগামী ফ্লাইট ছিল আগামী ১৮ই এপ্রিল, যে টিকেটটি পেয়েছেন তিনি ৪৭০ দিন অপেক্ষা করে। তার প্রশ্ন, “আমার লস এখন কে দেবে?”

জাহিদ হাসান নামে একজন লিখেছেন, তারও ১৮ই এপ্রিল ফ্লাইট ছিল, যেটি তিনি পেয়েছিলেন তিন মাস অপেক্ষা করার পর। তিনি লিখছেন, “তাহলে কী হবে আমাদের

ইবনে আলী নামে এক ব্যক্তি একটি সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলছেন, কাতারে যাওয়ার এন্ট্রি পারমিট নিয়ে শত শত মানুষ অপেক্ষা করছে। যে পারমিটের মেয়াদ মোটে এক মাস। এরকম এন্ট্রি পারমিটধারী কেউ এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ফ্লাইট মিস করলে “তার সব শেষ। দ্বিতীয়বার আর সুযোগ নেই”। সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print