
রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মোসারাত জাহান মুনিয়াকে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ কবরস্থানে আছর নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, বিকেল ৪টায় তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা থেকে কুমিল্লা বাগিচাগাঁওয়ে বড় বোনের বাসায় নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
বাদী মামলার এজাহারে বলেন, মোসারাত জাহান (২১) মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। দুই বছর আগে মামলার আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের (৪২) সঙ্গে মোসারাতের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন এবং সব সময় মোবাইলে কথা বলতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এদিকে কুমিল্লায় আসার পর মুনিয়ার বড় বোন ইসরাত জাহান তানিয়া জানান, মুনিয়া ডায়রি লিখতেন। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তবে এটি কি আত্মহত্যা, নাকি হত্যা সেটি তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।
সোমবার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করা হলেও স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফ্ল্যাটটিতে মুনিয়া একা থাকতেন।
নিহতের বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ জানান, দীর্ঘদিন নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও মুনিয়া আত্মহত্যা করতে পারে এটা মনে হয় না। ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে হয়।
মুনিয়ার জানাজা শেষে স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, মুনিয়ার বাবা প্রয়াত মো. শফিকুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা। দীর্ঘদিন ভাই আশিকুর রহমান সবুজের সাথে মুনিয়া ও তানিয়ার পারিবারিক বিরোধ চলছিল, যে কারণে কুমিল্লায় নিজ বাসায় তাদের যাতায়াত কম ছিল।