
লোহাগাড়ায় দিনদুপুরে ফিল্মি স্টাইলে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেল কিশোর গ্যাং লিডার। অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং লিডারের নাম মো. এরশাদ। পিতার নাম মোহাম্মদ মামুন ওরফে মহিষখাইল্যা ডাকাত মামুন্যা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলা বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে দিন দুপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ মামলা না দিয়ে নিখোঁজ জিড়ি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করেছে। জিডি নম্বর ৯৯৭, তাং ২৪/০৫/২০২১ ইংরেজী। এসব তথ্য জানিয়েছেন অপহরণের শিকার ছাত্রীর পিতা মোহাম্মদ ইদ্রিছ। ওই ছাত্রী আখতারাবাদ (কুমিরাঘোনা) আখতারুল উলুম মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপহরণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ করে বলেছেন, সোমবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় গতিরোধ করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করলেও কিশোর গ্যাং লিডারের ভয়ে কেউ উদ্ধারে এড়িয়ে আসেনি। পরে ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পিতা রাতে লোহাগাড়া থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করে। দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাং লিডার এরশাদ ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে উত্ত্যেক্ত করে আসছিল। এ এব্যাপারে পরিবারের কাছে একাধিক বার নালিশ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুমিরাঘোনা এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার এরশাদের নেতৃত্বে নানা অপকর্ম করে আসছিল। কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের অত্যাচারের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খোলার সাহস পায়না। এসব কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ইয়াবা, গাজাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এলাকা তাদের আরও অর্ধশতাধিক সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হ”েছ-আবুল কাশেমের ছেলে লোকমান,
শাহাবুদ্দিনের ছেলে সাকিব, শাহ আলমের ছেলে নয়ন, আনিসের ছেলে মাহমুদুর রহমান আসিফ। এছাড়া রয়েছে রিশাদ, আবদুল্লাহ ও মোরশেদ। তারা ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের বেশির ভাগের হাতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। কিছুদিন আগে ওই এলাকা থেকে একটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী কিশোর গ্যাং চক্রকে সন্দেহ করে আসছিল।
অপহরণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, আমার মেয়েকে অপহরনের দায়ে সোমবার রাতে কিশোর গ্যাং লিডার মো. এরশাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছি। কিশোর গ্যাং লিডার ও তার সহযোগিরা এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছিল। সর্বশেষ আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
এ ব্যপারে লোহাগাড়া থানার ওসিকে বার বার ফোন দিয়েও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।