
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও এখনো এর প্রবেশ পথ নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি। উল্টো স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধার মুখে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন প্রশিক্ষন কেন্দ্রের প্রবেশ পথের নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার।
ঠিকাদরের অভিযোগ একটি চক্র উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে সড়ক নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করছে। যার প্রেক্ষিতে অনাকাংক্ষিত ঘটনার আশংকায় যাতায়াত সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার লাকী এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার মোহাম্মদ তাহসিন জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা টেকনিক্যাল সেন্টারের নির্মাণাধীন প্রবেশ পথের মালিকানা দাবি করে সেখানে নির্মাণ কাজ জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়েছেন, বর্তমানে প্রবেশ পথের নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে।
“বিষয়টি গনপূর্ত বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে এবং এই ব্যাপারে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। চলতি জুন ২০২১ সালে এই সড়ক নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের বাধার কারণে তা যথা সময়ে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শুরুতে কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের প্রবেশ পথ ছিলো উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতর দিয়ে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে বর্তমান স্থান দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসন গণপূর্ত বিভাগকে জায়গাটি নির্ধারণ করে দেয়।
প্রভাবশালী মহল কর্তৃক রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগকে অবহিত করলে পূর্ত বিভাগ প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-৩ এর নির্বাহি প্রকৌশলী বলেন, সরকারি খাস জমিতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সড়ক নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসন পূর্তবিভাগকে জায়গাটি হস্তান্তর করে।কিন্তু সেখানকার একজন ব্যাক্তি হেলাল সাহেব জায়গাটির মালিকানা দাবি করে গত সপ্তাহে সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে, আমরা স্থানীয় প্রশাসন এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি।
বিদেশগামী জনশক্তির প্রশিক্ষনের জন্য প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে করিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয় যা বর্তমানে কাযক্রম শুরুর অপেক্ষায় আছে। তবে, সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি চালু হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গত মে মাসে প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সড়ক নির্মাণ শুরু হয়। সড়কটির আরসিসি ডালাইসহ ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সেটি বাধা প্রাপ্ত হলো বলে জানিযেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।