
চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধ্বসে আশংকা থাকায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ৫০ পরিবারের অন্তত ২০০ জন দুর্গত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আজ ১৯ জুন শনিবার সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত মহানগরীর ডাবলমুরিং থানাস্থ পোড়া কলোনী পাহাড়, এ কে খান পাহাড় এবং খুলশি থানার আওতাধীন ডেবার পাড় পাহাড় এলাকা , চান্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিসের অধীন বায়েজিদ থানাস্থ মিয়ার পাহাড়, টাংকির পাহাড় এবং পাঁচলাইশ থানাস্থ ফরেস্ট হিল, বাকলিয়া সার্কেলের অধীন মতিঝর্ণা এলাকা, বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিস অধীন কোতয়ালী থানাস্থ মতিঝর্ণা পাহাড় ও বাটালী পাহাড় এলাকা, কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিস অধীন আকবারশাহ থানাস্থ ফিরোজশাহ ও কৈবল্যধাম এলাকায় পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়া হয়।
এর আগে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিনভর স্থানীয় প্রশাসন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং এলাকার মসজিদের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সাইকিং করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, ১৮টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রামে ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৮০০ জনকে এখন পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জানাগেছে শনিবার দিনভর লালখানবাজার এলাকার পোড়া কলোনী, গরীবুল্লাহ শাহ হাউজিং এলাকার দেবার পাড় পাহাড় হতে ১০টি পরিবারের ৫০ দূর্গতদের স্থানান্তর, বায়েজিদ বোস্তামিতে অবস্থিত মিয়ার পাহাড় সংলগ্ন এলাকা হতে ১০টি পরিবারের ৫০ সদস্যের দূর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর, মতিঝর্ণা পাহাড় ও বাটালী পাহাড় এলাকা হতে ২০টি পরিবারের ৬০ সদস্যের দূর্গতদের স্থানান্তর করা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতকরণ ও জরুরী খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।