
শর্তসাপেক্ষে আগামী ২৪ জুন থেকে সীমিত পরিসরে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে এসব ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য নয়। সরকারি-বেসরকারি দাফতরিক কাজে যারা কক্সবাজার যাবেন তাদেরকে হোটেল মোটেলে কক্ষ ভাড়া দেয়া হবে। পর্যটনকেন্দ্রগুলো যথারীতি বন্ধই থাকছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ। তিনি জানান, পর্যটন সংশ্লিষ্ট লোকজনের দাবির মুখে সীমিত পরিসরে হোটেল-মোটেল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
আমিন আল পারভেজ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের সাড়ে চার শতাধিক হোটেল মোটেল, সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজারের সকল পর্যটন স্পট খুলে দেয়ার দাবি করে আসছে।
জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
কেউ যদি শর্ত না মেনে পর্যটকদের রুম ভাড়া দেয়, তাহলে ওই হোটেল বা মোটেল বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভারভেজ।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে হোটেল কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না, হোটেলের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে, প্রতিটি হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল পরিচালনা করতে হবে। এ ছাড়াও আরো নানা শর্তজুড়ে দিয়ে সীমিত পরিসরে হোটেল-মোটেল খোলা যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে হোটেল-মোটেল খোলার ব্যাপারে প্রাথমিক পর্যালোচনা হয়েছে। আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সব বিষয় পর্যালোচনার পর এটি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।