
নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালাতে গিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় আন্তত ১১জন নারী শিশুর লাশ উদ্ধার কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
গত শুক্রবার গভীর রাতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গারা পালানোর সময় গভীর সমুদ্রে সেটি ডুবে যায়। পরদিন শনিবার ৪ জনের লাশ পাওয়া গেলেও। অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ হয়। ঘটনার পর থেকে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে আসছে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই দিন আগে নৌবাহিনী গভীর সমুদ্র থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করে।
আজ মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা মিলে গভীর সমুদ্র ও সন্দ্বীপ উপকূল থেকে এসব রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেন বলে জানানো হয়।
তিনি জানান, কোস্টগার্ড সোমবার থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত সমুদ্র ও সন্দ্বীপ উপকূল থেকে আটজনের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া সন্দ্বীপ থানা পুলিশও উপকূল থেকে দু্ই জনের লাশ উদ্ধার করেছে।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুই জন মহিলা, পাঁচজন শিশু রয়েছেন।
সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহমদ খান জানান, সন্দ্বিপ ঊপকূলে লাশ ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে কোস্টগার্ডকে হস্তান্তর করা হয়েছে।