
করোনা মহামারীতে ভারেতর উপহার দুটি মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট (এমওপি) ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস সাবিত্রী’ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতীয় নৌবাহিনীর অফশোর টহল জাহাজ আইএনএস সাবিত্রী প্ল্যান্টগুলো নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। সকালে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ৫ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
এসময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার এর পক্ষ থেকে জাহাজটিকে স্বাগত জানান চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মইন। তিনি আইএনএস সাবিত্রীর কমান্ডার এন রবি সিংকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

বিএনএস পতেঙ্গার নেভি হাসপাতালের কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার এম মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষে এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাগজপত্র গ্রহণ করেন।
ক্যাপ্টেন মইন জানান, ভারতের ডিআরডিও দ্বারা নির্মিত প্ল্যান্টগুলি কোভিড মহামারির মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতায় উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। প্ল্যান্টগুলোর অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি মিনিটে ৯৬০ লিটার।
একটি প্ল্যান্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থাপন করা হবে এবং অপরটি বিএনএস পতেঙ্গায় স্থাপন করার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ ও অত্যাধুনিক এই প্ল্যান্টগুলি অত্যন্ত সাশ্রয়ী উপায়ে তাৎক্ষণিক মেডিকেল অক্সিজেন তৈরি করে। হাসপাতালে সরাসরি স্থাপনের পাশাপাশি এগুলি অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করার জন্যও ব্যবহার উপযোগী।
প্ল্যান্টগুলি চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের জন্য প্রেসার স্যুইং অ্যাবসর্পশন (পিএসএ) নীতিসহ জিওলাইট (মলিকুলার সীভ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানসম্মত মেডিকেল অক্সিজেন উৎপন্ন করে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,বাংলাদেশে কোভিড মহামারীর চলমান ঢেউ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সরকারী সংস্থার চলমান প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করার জন্য চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশের পৌছেছে জাহাজটি।
আইএনএস সাবিত্রী গত ৩০ আগস্ট, ২০২১ তারিখে বিশাখাপত্তনম ছেড়ে এসে ২, সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে যেখানে নানা রকমের ক্রিয়াকলাপ এবং বিনিময় বিরাজমান এবং যা বছরের পর বছর ধরে শক্তিশালী হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের একটি ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্যে উভয় দেশের একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।