
চন্দনাইশ চেক প্রতারণা মামলা পলাতক আসামী প্রতারক কাঞ্চন দাশ (৪৮)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত ৩টায় দোহাজারীর জামিজুরীর নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় থানা পুলিশ। তার বিরোদ্ধে চেক প্রতারণা ও অপহরণ মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
প্রতারক কাঞ্চন দাশ একই এলাকার বেরতি মোহন দাশের ছেলে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঠক ডট নিউজকে বলেন- আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী কাঞ্চন দাশ। তাকে গ্রেফতারের পর আজ আদালতে পাঠিয়েছি।
আরও খবর: সাতকানিয়ায় প্রবাসী মোস্তাকের ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক কাঞ্চন দাশ
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া চন্দনাইশ থানার এস আই ছোটন দাশ বলেন, গোপন খবরের ভিক্তিতে আদালতের ওয়ারেন্টভূক্ত চেক প্রতারণা মামলার আসামী কাঞ্চন দাশকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছি।

জানা গেছে, সাতকানিয়ার পশ্চিম কাটগড় এলাকার মোস্তাক মিয়া নামে এক প্রবাসীকে মৎস্য খামারের প্রলোভন দেখিয়ে তার সারাজীবনে প্রবাসে থেকে আয় করা সহায়সম্বল ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে অনেক দেন দরবারের মাধ্যমে কাঞ্চন দাশ ০৯/১২/২০২০ইং জামানত স্বরূপ স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক লোহাগাড়া শাখার ৩০ লাখ টাকার একটি চেক (CAC 2425183)দেন। পরে সে চেক ভাঙ্গাতে গেলে বার বার জিঅনার হয়।
মোস্তাক জানান, গত ২৫/১২/২০২০ ইং তারিখে আমি তার কাছে মৎস্য খামারের আয় ব্যায়ের বিস্তারিত হিসাব দিতে বললে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সে কাঞ্চন আমাকে মানতে উদ্যত হয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা ও সন্ত্রাসীর ভয় দেখায়। এনিয়ে সাতকানিয়া থানায় ২৮ ডিসেম্বর-২০২০ ইং তারিখে তার নামে জিডি করি।
বাদী মোস্তাক আরও জানান, জিডি করার পরদিনই ৯৯৯ এ ফোন করে কাঞ্চন তার চেক চুরি হয়েছে বলে মিথ্যা তথ্য দেয়। পরে সাতকানিয়া থানা পুলিশ গিয়ে আপোষ মিমাংসার কথা বলে ৩০ লাখ টাকার সেই চেক আমার থেকে নিয়ে যায়। এনিয়ে সাতকানিয়া থানায় দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় আমি আমার চেক ফেরত দেয়ার জন্য বলি।। কিন্তু পুলিশ কাঞ্চনের পক্ষ নিয়ে আমার চেক ফের না দিয়ে নানাভাবে কুটকৌশল চালিয়ে যেতে থাকে। পরে আমি চেক উদ্ধারে জন্য আদালতে স্বরণাপন্য হলে আদালতে নিদ্দেশে পুলিশ আমাকে চেক ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
এর পর আমি আদালতে চেক প্রতারণার মামলা করলে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পিবিআই দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। এরপর আদালতকাকে সমন জারি করলেও হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে কাঞ্চনদাশ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রবাসী মোস্তাক আহমদকে দোহাজারী এলাকা থেকে অপহরণ করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সাংবাদিক ও পুলিশের তৎপরতায় মোস্তাককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় কাঞ্চন দাশ ও তার সহযোগী পলাশ দাশ, গিয়াস উদ্দিন কাদের জিকু, মো. মিজান, মো. মোরশেদ এর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয় আদালতে।