ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় চেয়ারম্যানের দুই মেয়ে ও পুত্রবধূর নাম

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সরকার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হতদরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতার সুবিধা চালু করেছে। অথচ হতদরিদ্র এই মায়েদের ভাতার তালিকায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের দুই মেয়ে ও পুত্রবধূর নাম রয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নামের মাতৃত্বকালীন ভাতার সুবিধার তালিকায় তাদের নাম পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানের নাম মো. খোরশেদ আলম। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া অতিদরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করতে ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও একাধিক ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় থেকে পাওয়া তালিকা থেকে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের নামের তালিকায় গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলমের দুই মেয়ে জাকিয়া ও কানিজ জোহরার নাম এবং ২০২০-২১ অর্থ বছরের তালিকায় পুত্রবধূ হালিমা আক্তারের নাম রয়েছে।

ভাতা প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী, অসহায়, স্বামী অক্ষম, বয়স ২০-৩৫ বছরের নিচে ও পাঁচ শতকের নিচে জমি থাকা ব্যক্তিরা সরকারি এ সুবিধা পাবেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের দুই মেয়ে ও পুত্রবধূ সচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও গত তিন বছর ধরে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের হতদরিদ্র পরিবারের নারীদের সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে থাকে। প্রতি নারীকে মাসে ৮০০ টাকা করে ৩৬ মাসে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়ন এলাকায় ৭০ জন হতদরিদ্র নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতার আওতায় আনা হয় এবং ২০২০-২১ অর্থ বছরের আরও ১৪ জন নাম তালিকায় অন্তভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়সহ তার দুই মেয়ে ও পুত্রবধূর নাম রয়েছে।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও পুত্রবধূ ভাতা পায়। মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রধানমন্ত্রীর মেয়েও পেতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সালমা ইয়াসমিন বলেন, ‘মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের দুই মেয়ে ও এক পুত্রবধূর নাম রয়েছে। এত বছর আমরা তা জানতাম না। পরে কয়েকদিন আগে এ বিষয়টি নজরে আসে। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করব।’

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print