
চট্টগ্রামে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলাকে যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে যশোরের বেনাপোল বাজার এলাকার দুর্গাপুর রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা ভোলাকে গ্রেপ্তারের তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
পিবিআই সূত্র জানায়, আলোচিত মিতু হত্যা মামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি সরবরাহ করেছিলেন এহেতেশামুল হক ভোলা। ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করে বেশ কিছুদিন জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।
তবে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন না করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ভোলা। খবর পেয়ে পিবিআই অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারত সীমান্তের বেনাপোল বাজারের দুর্গাপুর বাজার রোড থেকে ভোলাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যা মামলায় এহতেশামুল হক ভোলাকে চার সপ্তাহের জামিন দেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে নগরীর জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তদের গুলি এবং ছুরিকাঘাতে খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ সময় তার ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। সন্তানের সামনেই দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছিল।
এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এসপি বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় ওই বছর নগরীর বাকলিয়া এলাকার এহতেশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশে ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান ভোলা।
ওই হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে গত বছর জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআই’র তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা উঠে আসে। এরপর বাবুল আক্তারের শ্বশুর বাদী হয়ে গত ১২ মে বাবুলকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা করেন। এ মামলায় বাবুল আক্তার এখন কারাবন্দি।