ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

প্রতারণার অভিযোগে কর্ণফুলী মাল্টিপারপাসের প্রকল্প পরিচালকসহ গ্রেফতার ১০

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সমবায় ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শাকিল আহাম্মেদ (৩০) সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী এলাকায় কর্ণফুলীর অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্য ৯ জন হলেন- মো. চাঁন মিয়া (৩৮), এ কে আজাদ (৩৫), মো. রেজাউল (২২), মো. তাজুল ইসলাম (৩১), মো. শাহাবুদ্দিন খাঁন (২৮), আব্দুস ছাত্তার (৩৭), মো. মাসুম বিল্লা (২৯), মো. টিটু মিয়া (২৮) ও মো. আতিকুর রহমান (২৮)।

আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, মিরপুর এলাকার বেশকিছু ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন ১১/এ, রোড নং-৬, প্লট-৪, নান্নু সুপার মাকের্টে অভিযান চালিয়ে ‘কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অফিস থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ১৭ টি মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব বই, ২৬ টি চেক বই, দুটি ডিপোজিট বই, তিনটি সীল, ১২০ টি ডিপিএস বই, একটি রেজিস্ট্রার বই, একটি নোটবুক, একটি স্যালারি শিট, ৩০ টি জীবন-বৃত্তান্ত, পাঁচটি ক্যালেন্ডার, আট পাতা ডিপিএস এর মাসিক হিসাব বিবরণী, তিনটি পাসপোর্ট, একটি ডিভিআর মেশিন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কপি ২৮ পাতা, একটি ব্যানার ও নগদ চার লাখ ২২ হাজার টাকা জব্দ করে।

প্রতারক চক্রের মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও সদস্য রয়েছে। তারা রাজধানীর মিরপুরস্থ বিভিন্ন বস্তি এলাকার গার্মেন্টসকর্মী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, অটোচালক, সবজি ব্যবসায়ী, ফল ব্যবসায়ী, গৃহকর্মী ও নিম্নআয়ের মানুষদের টার্গেট করে স্বল্প সময়ে মাসিক মেয়াদ শেষে অধিক মুনাফা লাভের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কোম্পানী’তে বিনিয়োগ ও ডিপিএস করতে উদ্বুদ্ধ করত। ভিকটিমদের প্রলুব্ধ করে তাদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নানান কৌশলে প্রতারক চক্রের অফিস কার্যালয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হতো। এরপর তাদেরকে প্রতি গ্রাহক ও টার্গেট সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট অংকের টাকা দেয়া হতো।

গ্রেপ্তার শাকিল আহম্মেদ ও চাঁন মিয়া ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে কর্ণফুলী মাল্টিপারপাসে বিনিয়োগ ও ডিপিএস করতে আগ্রহী করত।

‘কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ এর মালিক ও মূল অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন পলাতক। তার নিজ জেলা মুন্সিগঞ্জ। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করে। তার দুইজন স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। আগে একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে রিপ্রেজেন্টিটিভ হিসেবে কর্মরত ছিল। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে সে অল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাভ করে ২০০৬ সালে। ২০১৩ সালে সমিতিটির পূনর্নিবন্ধন হয়।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-২০১৯ সালের তাদের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৩৭ জন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২৫-৩০ হাজার সদস্য গ্রাহক সংগ্রহ করেছে। সে কোম্পানিতে নতুন সদস্য আনার লক্ষ্যে পুরাতন সদস্যদের চাপ দিতো ও তাদের মুনাফার লোভ দেখাতো।

র‌্যাব-৪ এর সিও আরও বলেন, জসিম অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির, অধিকাংশ সময়েই সমিতির অফিসে আসত না। সমিতির ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা উত্তোলন করে অন্যত্র স্থানান্তর বা জমি ও ফ্ল্যাট কিনে টাকা লেয়ারিং করত।

গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

মূল অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযানের পর থেকে জসিম উদ্দিন পলাতক।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print