গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বাদে জোহর হযরত শাহ আমানত খান (রঃ) মাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহাজাদা এনায়েত উল্লাহ খান।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে বন্দি রাখার কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর পুরোনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার থেকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে আপসহীন অবস্থানের কারণে তিনি আজ সবচেয়ে মজলুম নেত্রী। উপ মহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি প্রশ্নে কৌশল করছে সরকার। তাকে রাজনীতি ও জনগণ থেকে দুরে রাখছে। গুরুতর অসুস্থ ও বয়স্কা একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জেল জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়ন করছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তাঁর বহু অবদান রয়েছে। তাঁকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে সরকার।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শামসুল হক (ডক), জি এম আইয়ুব খান, মাহাবুবুল হক, শাহ আলম, সিহাব উদ্দিন মুবিন, থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, মনির আহমদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, বিএনপি নেতা আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, মো. শাহজান, আবদুল আজিজ, আলী আজম চৌধুরী, মো. মহসিন, ইসমাইল বাবুল, আরিফ মেহেদী, ইউসুফ সিকদার, আলী ইউছুপ, জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল সগির, কাজী শামসুল আলম, মো. বেলাল, হাজী মো. ইলিয়াছ, হুমায়ুন কবির সোহেল, ইলিয়াছ চৌধুরী, জমির আহমদ, ফারুক আহমদ, আজম উদ্দিন, মো. ইলিয়াছ, খাজা আলাউদ্দিন, রাসেল পারভেজ সুজন, এস এম ফরিদুল আলম, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, সৈয়দ আবুল বশর, হাসান ওসমান চৌধুরী, হাজী আবু ফয়েজ, নুর হোসেন নুরু, মন্জুর কাদের, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মো. ইলিয়াছ, মিয়া হারুন, আমান উল্লাহ আমান, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান প্রমূখ।
