
বর্তমান শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘতম আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে আজ বিকেলে। গত ৫৮০ বছরের মধ্যে এতো দীর্ঘ সময়ের জন্য চন্দ্রগ্রহণ আর হয়নি।
আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা ১২ থেকে ২৭ মিনিটের মধ্যে এ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হতে পারে। এটি চলবে সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিট পর্যন্ত।
জানা গেছে, ঢাকায় বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট, ময়মনসিংহে ৫টা ১১ মিনিট, চট্টগ্রামে ৫টা ১০ মিনিট, সিলেটে ৫টা ৫ মিনিট, খুলনায় ৫টা ১৮ মিনিট, বরিশালে ৫টা ১৫ মিনিট, রাজশাহীতে ৫টা ১৯ মিনিট এবং রংপুরে ৫টা ১৪ মিনিট থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যেতে পারে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে পৃথিবী থেকে মনে হয় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। চন্দ্রগ্রহণ প্রায় ঘণ্টাকালীন স্থায়ী হয় কারণ চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়া অতিক্রম করে।
গ্রহণ চলাকালীন চাঁদকে অনেকটা তামাটে বা লালচে চাকতির মতো মনে হবে। এর কারণ হলো সূর্যের কিছু আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে বিকরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে। অন্যান্য রং বিচ্ছুরিত হলেও লাল রং তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে প্রতিসরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে, এই কারণে গ্রহণের চাঁদকে লাল দেখায়।
এ মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের একাংশে। তবে পূর্ণগ্রাস নয়, এ গ্রহণ হবে আংশিক। ঢাকা পড়বে চাঁদের ৯৭ শতাংশ।
গ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা থেকে। আমেরিকার ৫০টি প্রদেশ ও মেক্সিকো থেকে গ্রহণের প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারবেন মহাকাশপ্রেমীরা। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়া, উত্তর ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকেও দেখা যাবে এ চন্দ্রগ্রহণ।
২০০১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে এটাই হতে চলেছে এ শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ। এ ১০ বছরে মোট ২২৮টি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই এক মাসের মধ্যে দুটি করে চন্দ্রগ্রহণ হবে। এমনকি তিনটি গ্রহণও হবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে।