ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ঘন কুয়াশা ও সংঘর্ষে সাগরে ডুবে গেছে পণ্য বোঝাই ৪টি জাহাজ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

%e0%a6%97%e0%a6%97%e0%a6%97%e0%a6%97-copy
অর্ধ ডুবন্ত এম ভি ল্যাবস-১

চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙ্গরে এবং সন্দ্বীপ চ্যানেলে পৃথক পৃথক ঘটনায় একদিনেই ডুবে গেছে ৪টি লাইটারেজ জাহাজ। এর মধ্যে সিমেন্ট ক্লিংকার বেঝাই একটি জাহাজ ডুবে গেছে অন্য একটি জাহাজের ধাক্কায়। বাকি ৩টি ডুবেছে ঘন কুয়াশার কারণে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, লাইটারেজ জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল এবং কোস্টগার্ড এসব জাহাজ ডুবির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

কোস্টগার্ড পূর্বজোনের চীফ শহিদুল ইসলাম জানান, কর্নফুলী নদীর চ্যানেলে প্রবেশে পথে ভোরে দুটি জাহাজের সংঘর্ষে এম ভি ল্যাবস্-১ নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। জাহাজে থাকা ১৩জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তিনি বলেন, অন্য একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় এম ভি ল্যাব্যস্ -১ জাহাজটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ডুবতে শুরু করে।

22-1
উদ্ধার হওয়া ১৩ মাঝিমাল্লা।

এই সময় তারা ভিএইচএফ সেটে কোস্ট গার্ড এর সথে যোগাযোগ করে। তাৎক্ষণিক কোস্ট গার্ড এর নিয়মিত টহলে থাকা জাহাজ সিজিএস তৌহিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাইটার ভেসেলটিকে চ্যানেল থেকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে বিচিং করে। এ সময় উক্ত জাহাজে থাকা সকল সদস্যকে (১৩ জন) কোস্ট গার্ডের দ্রুতগামী বোট দ্বারা উদ্ধার করে এবং উদ্ধার শেষে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

জাহাজ ডুবি নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানাগেছে, বন্দর চ্যানেলের মুখে সিমেন্ট ক্লিংকার বোঝাই এম ভি ল্যাবস্-১ জাহাজটি নোঙ্গর করা ছিল। এসময় এমভি আরেফিন নামে অপর একটি লাইটার জাহাজ এম ভি ল্যাবস্-১ কে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ল্যাবসের তলা ফুটু হয়ে ডুবে যেতে থাকে। এ অবস্থায় ক্যাপ্টন জাহাজটি চ্যানেল থেকে সরিয়ে দ্রুত উপকূলে দিকে নিয়ে যেতে চাইলে পার্কি বীচের কাছে জলদিয়া ট্রেডিং ওয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে তা ডুবে যায়। পরে কোস্টগার্ড ১৩ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করে।

11-1-1
.

এদিকে বঙ্গোপসারের বিভিন্ন স্থানে পণ্যবোঝাই আরো ৩টি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেছে। বুধবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব জাহাজ ডুবে যায় বলে লাইটারেজ জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের’ নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ।

“ভুট্টা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে সন্দ্বীপের ভাসানচর এলাকায় ‘গ্লোরি অব শ্রীনগর-৪’ ও ঘসিয়াচর এলাকায় দুই হাজার ২০০ টন চিনিবহনকারী ‘এমভি দারিন্দাসাব’ নামের আরও দুটি লাইটারেজ ডুবেছে।” এছাড়া বিসিআইসির ১ হাজার ৮০০ টন রক ফসফেট বহনকারী ‘এমভি মজনু’ নামের লাইটারেজ জাহাজ বর্হিনোঙরে ডুবে গেছে বলে জানান মাহবুব রশিদ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর চারটা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নবী আলম বলেন, গতকাল রাত থেকে সাগরে ঘন কুয়াশার কারণে এ চারটি ছাড়া আরও কয়েকটি জাহাজ দুর্ঘটনায় পড়েছে। তবে এসব দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত না হলের ডুবে গেছে কয়েক লাখ টাকার পণ্য।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print