
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের দল। চট্টগ্রামের মাটি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সে ঘোষণায় মুক্তিকামী জনতা উদ্ধৃত হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। আজকে যারা বড় গলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরি করে বেড়াচ্ছে তাদের বেশিরভাগই সে সময়ে ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ে জীবন পার করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে যে স্বপ্ন নিয়ে বীর বাঙালি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। তাই আওয়ামীলীগের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানাই না। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।
তিনি আজ বৃহস্প্রতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে এসব কথা বলেন।
এর আগে ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিশাল বিজয় র্যালী শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদল, কৃষকদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহন করে।

এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র নেই। যে দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে আজকে সেই বাংলাদেশকে দেখছি না। সেই দেশ ঘৃণ্য এক দেশ হয়ে গেছে, স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। আজকে মহান বিজয়ের এই দিনে হারানো গণতন্ত্র ফেরানোর লক্ষ্যে সকল অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হয়েছে। যে ভোট আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল সেই মতো প্রকাশের স্বাধীনতা এখন নাই। আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সংবিধানিক সকল অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। দেশের প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। এর থেকে আমাদের উত্তোরনের পথে বের করতে হবে। তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ভোট ডাকাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশারফ হোসেন ডেপটী, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, মনির আহমেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, জাহাঙ্গির আলম, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, মহিলাদলের জেলী চৌধুরী, মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাতীদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, জমির আহমদ, মো. ইলিয়াছ, রফিক চৌধুরী, হাজী মো. ইলিয়াছ, মো. বেলাল, কাজী শামসুল আলম, হাজী মো. মহসিন, সাইফুল আলম, খাজা আলাউদ্দিন, রাসেল পারভেজ সুজন, আবদুল্লাহ আল ছগির, খন্দকার নুরুল ইসলাম, আলী আব্বাস খান, এস এম ফরিদুল আলম, মো. আজম, মো. হারুন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাসান ওসমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ফরিদুল আলম চৌধুরী, মো. শফি উল্লাহ, আশরাফ খান, হাজী আবু ফয়েজ, হাজী এমরান উদ্দীন, হায়দার আলী, আনোয়ার হোসেন আরজু, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জসিম মিয়া, সাদেকুর রহমান রিপন, মনজুর কাদের প্রমুখ।