
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নে নিজ মায়ের সহযোগিতায় বখাটে কর্তৃক ১০ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুটির মা এবং ওই বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের হাসনাবাদের আমজাদ আলী সারাং এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন নিজের মেয়েকে ধর্ষণের সহযোগিতা করায় এক নারী এবং নাবালিকা শিশুকে ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, টাকার লোভে নিজের ১০ বছরের শিশুকন্যাকে বখাটের হাতে তুলে দেয় রেজিয়া বেগম (৫০) (ছদ্র নাম)। প্রতিদিনই মায়ের সহযোগিতায় ওই শিশুকন্যাকে বারবার ধর্ষণ করে আসছিল।
সর্বশেষ শনিবার রাতে মেয়েটিকে ধর্ষণের সময় এলাকাবাসী ধর্ষক ও মাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
সীতাকুণ্ড পুলিশ জানায়, ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাসনাবাদ এলাকার আমজাদ আলী সেরাং বাড়ির ফাতেমা বেগম এর ভাড়া বাসার অস্থায়ী বাসিন্দা এক নারীর (৫০) সঙ্গে কিছুদিন পূর্বে পরিচয় হয় বাঁশবাড়িয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াছের ছেলে ডেকোরেশন কর্মী মো. ইব্রাহিমের (৩২)। পরিচয় সূত্রে ওই নারীকে খালা ডেকে ইব্রাহিম প্রায়ই তাঁর বাড়িতে রাত্রিযাপন করত এবং মাসুদাকে টাকা পয়সা দিত। এতে ওই নারী যুবকের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ার সুযোগে সে রাত্রিযাপনকালে তাঁর ১০ বছর বয়সী মেয়েকে বারবার ধর্ষণ করতে থাকে।
এতে মেয়েটি প্রচণ্ড ব্যথা ও রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে মাকে ধর্ষণের কথা জানালেও মা তাকে চুপ থাকতে ভয়-ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে ব্যথা সহ্য করতে না পেয়ে সম্প্রতি মেয়েটি ইব্রাহিম কর্তৃক নিজ ঘরেই বারবার ধর্ষিত হবার কথা তার ভাবি লাইলি বেগম (২২)কে জানায়।
এক পর্যায়ে শনিবার রাতে ইব্রাহিম ওই বাড়িতে আসলে প্রতিবেশীরা মেয়েটির মা ও ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়। পুলিশনা বালিকা কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে আটক করে পরে রবিবার আদালতে হাজির করলে আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠায়।