ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ভাসানচর যেতে চট্টগ্রামের পথে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরও এক হাজার ৪৩৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আজ বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তত্ত্বাবধানে পুলিশি পাহারায় প্রথম পর্বে ২৬টি বাসে উখিয়া কলেজের মাঠ থেকে ভাসানচর যাওয়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে এক হাজার ৪৩৭ রোহিঙ্গা।

বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আরও দ্বিতীয় ধাপে আরও ১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে উখিয়া ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। রোহিঙ্গার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ স্কট ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িও রয়েছে।

এর আগে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার মাধ্যমে উখিয়া কলেজ মাঠে আসেন রোহিঙ্গারা। অনেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও আসেন ট্রানজিট পয়েন্টে। এগারো দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৬৫৪ জন রোহিঙ্গা এবং এর আগে ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় ১ হাজার ২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান বলে জানান ১৪-এপিবিএন কমান্ডার (এসপি) নাইমুল হক নাইম।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, বার দফার প্রথম ধাপে ১ হাজার ৪৩৭ রোহিঙ্গা উখিয়া ছেড়েছে। পূর্বের নিয়মে তারা বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর জেটিঘাট এলাকায় অবস্থান করবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের ভাসানচর পৌঁছার কথা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এগারো দফায় ১ হাজার ৬৫৪ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় ১ হাজার ২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।

এদিকে, গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ইতিমধ্যে ২৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print