
সন্দ্বীপ যাতায়াতে নিরাপদ নৌপথের দাবীতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে জামা খুলে ‘উদোম গায়ে’ ব্যাতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে চট্টগ্রামে বসবাসরত সন্দ্বীপবাসী।
আজ সোমবার বেলা বারটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করে সন্দ্বীপ এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম। এতে সন্দ্বীপ ছাত্র ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন অংশ নেই। মানববন্ধন ও মিছিল পূব সমাবেশে বক্তারা কুমিরা গুপ্তচরা নৌ রুটে নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়নে নেতাদের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কর্মসূচি চলাকালে দৈনিক সমকাল পত্রিকার ব্যূরাে প্রধান সারোয়ার সুমন বলেন, আজ আমরা জামা খুলেছি; কাল যাদের কারণে এই দূর্ভোগ তাদের জামা খুলবো।আমাদের বাধ্য করবেন না এমন কিছু করতে। তিনি এ সমস্যা সমাধানে জনপ্রতিনিধিদের আরো আন্তরিক হয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সংগঠনটির সভাপতি এডভোকেট রিদোয়ানুল বারী সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন সেক্রেটারি মনজুর আলম।
সাংবাদিক সালেহ নোমান বলেন আমরা বার বার স্বজন হারাচ্ছি প্রতিনিয়তা দূর্ভোগ পোয়াচ্ছি।জনপ্রতিনিদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায় আপনারা সোচ্চার হোন নয়তো ভবিষ্যতে সন্দ্বীপের জনগণ আপনাদের প্রত্যাখান করতে বাধ্য হবে।
সমাবেশে সন্দ্বীপ এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম এর নেতৃবৃন্দ ছাড়া ও বক্তব্যে কাজী জিয়া উদ্দিন সোহেল রাখেন সাংবাদিক খাদেমুল ইসলামসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেয়।

এদিকে আন্দোলনের সাথে সংহিতা জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুসলেম উদ্দীন মুন্না বলেন, একটি নিরাপদ ও আধুনিক নৌ যাতায়াতের দাবীতে সন্দ্বীপবাসীর আন্দোলন আর কত বেগমান হলে প্রশাসনের টনক নড়বে? দ্বীপের চার লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ নৌ যাতায়াত নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন পেড়িয়ে এখন রাজপথে সন্দ্বীপবাসী আন্দোলন করছে দিনের পর। পবিত্র রমযান পালন করেও কঠোর আন্দোলনের প্রতি যদি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভ্রুক্ষেপহীন থাকেন, তাহলে নিকট ভবিষ্যতে এর জন্য চরম মুল্য দিতে হবে।
উল্লেখ কুমিরা গুপ্তচরা নৌ রুটে গেল ২০ এপ্রিল স্পিডবোট চালকের ভুলে চার শিশুুর মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৭ সালে লাল বোট ডুরির ঘটনায় ১৮ জন মৃত্যু বরণ করে।
আন্দোলনকারীদের ৯ দফা দাবী হল-
১। কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ ঘাটের একক ইজারাপ্রথা বাতিল পূর্বক একাধিক ইজারা প্রথার ব্যবস্থা করা,
২। ভাসমান জেটি /পন্টুন/ সী ট্রাক দ্বারা স্টীমারে যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা করা,
৩। নিরাপদ নৌযান / অনুমোদিত নৌযান দ্বারা যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করা।
৪। যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৫। বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের উদ্ধারের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৬। স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে নিয়মিত মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা।
৭। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতি পুরণ প্রদান করা।
৮। সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের নৌরুটের সকল ঘাট যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করা।
৯। সর্বোপরি একটি দায়িত্বশীল জবাবদিহিমূলক উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট ঘাটের ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর করার
মহিউদ্দিন টিপু/এসআইএস/