
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ডে হাইওয়ে পুলিশের এক এএসআই সহ ৫ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিভিন্ন পরিবহণ থেকে পুলিশের চাঁদাবাজিকালে সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করার সময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা স্থানীয় দুই সাংবাদিককে হেনস্তা করার অভিযোগ পেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রত্যাহার করে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন, সীতাকুণ্ডের টেরিয়াল ফাঁড়ির এএসআই মাসুদ রানা, কনস্টেবল লোকমান হোসেন, কনস্টেবল আমান, মো. করিম ও মো. জহির।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. আব্দুল্লাহ এ তথ্যগণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ সুপার স্যারের আদেশে ৫ জনকে ক্লোজড করা হয়েছে।ঘটনার দিন ডিউটিতে যারা ছিলো তাদের সবাইকে ক্লোজড করে কুমিল্লা রিজিয়নে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, গত ১০ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার সম্মুখে একটি দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীবাহী বাস ও একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করছিল হাইওয়ে পুলিশের ওই সদস্যরা। চাঁদাবাজির সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করতে চাইলে সাংবাদিক এম কে মনির ও ফারহান সিদ্দিককে হেনস্তা করেন এএসআই মাসুদ রানাসহ অন্যান্যরা। সাংবাদিকদের অভিযোগ, অনৈতিকভাবে দূর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক থেকে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি করার ভিডিও ধারণ করতে চাইলে তারা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়, গলাধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে এবং গ্রেফতারের হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় জনতা ও বাস যাত্রীদের রোষানলে পড়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
সাংবাদিক হেনস্তার এ ঘটনায় কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ রহমত উল্লাহ’র নজরে আসে। এরপরই অভিযুক্ত ৫ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে কুমিল্লা রিজিয়নে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান হেনস্তার শিকার দুই সংবাদ কর্মী।