ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ফটিকছড়িতে পাহাড় কাটার অপরাধে ছাত্রলীগ সভাপতিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ছাত্রলীগের সভাপতি হানিফ সরকারের

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলাল ফটিকছড়িতে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে পাহাড় কাটার অপরাধে দাঁতমারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হানিফ সরকারেরকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও হেঁয়াকো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হানিফ সরকারের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ দাঁতমারা ইউপির হেঁয়াকো পশ্চিম সিকদারখীলস্থ জনৈক সিরাজ ও সফিকের বাড়ির নীচে রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে স্কেভেটর লাগিয়ে পাহাড় কেটে ৮/১০টি ড্রামট্রাক যোগে মাটি পাচারের লক্ষ্যে হেঁয়াকো সওজ রেস্টহাউজ মাঠে জমাচ্ছিল।

রাতের আঁধারে এ পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাব্বির রাহমান সানি ও ভূজপুর থানার ওসি হেলাল ফারুকী মাটি ভর্তি গাড়ী আটকের নির্দেশ দেন দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মনির হোসেনকে। তিনি হেঁয়াকো বাজারে মাটি ভর্তি দু’টি ড্রামট্রাক আটক করে থানায় নিতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি হানিফ সরকারের ভাই সেলিম ও পাটনার বাবুল মিয়াসহ মাটি কাটার লোকজন পুলিশের কাছ থেকে গাড়ী দু’টি ছিনিয়ে নেয়।

এ খবর পেয়ে সংক্ষুব্ধ ইউএনও সাব্বির রহমান সানি দাঁতমারা থেকে উপজেলা সদরে ফেরেন এবং ভূজপুরের ওসিকে রাতের মধ্যেই গাড়ী এবং স্কেভেটর আটক করে মোবাইল কোর্টের সামনে হাজির করার নির্দেশনা দেন। এরই ফাঁকে স্কেভেটর সরিয়ে ফেললেও রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনিয়ে নেয়া গাড়ী দু’টি জব্দ করে উপজেলা কমপ্লেক্সে পাঠায়।

আজ বুধবার বিকেলে দাতমারা ছাত্রলীগের সভাপতি হানিফ সরকার নিজে উপস্থিত না হয়ে তার পাটনার বাবুল মিয়া, পিতা- আব্দুল কাদের, গ্রাম- দক্ষিণ জুজখোলা (নারায়ণহাট)কে ফটিকছড়ি’র ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাব্বির রাহমান সানি’র মোবাইল কোর্টে উপস্থিত করায়। সে অপরাধ স্বীকার করায় এবং দোষ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ (চ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী অপরাধীকে ৩ লাখ অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডে দন্ডিত করে মোবাইল কোর্ট। পরে অভিযুক্তরা দণ্ডের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করলে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়। এ ঘটনা পুরো উত্তর ফটিকছড়ি জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print