জেলার সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আজ বুধবার বিকেলে আরও একজনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে।
বিস্ফোরণের ৫ দিনের মাথায় আজ দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ডাম্পিং কাজ করছে। সেখানে বিভিন্ন কন্টেইনারে থাকা মালামাল ও রপ্তানীর জন্য রাখা পুড়ে যাওয়া পোষাক থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এসব পোড়া মালামাল ডাম্পিংকালে মরদেহটি পাওয়া যায় বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান সর্বশেষ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারের পর পরিচয় নিশ্চিত হতে মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
এর আগে বুধবার ভোরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আগুনে দগ্ধ মাসুদ রানা মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের শীতলপুরস্থ বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে এবং আগুনের তীব্রতা বাড়ে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।