
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপেজলার জোরারগঞ্জে ‘আয়না পড়া’ দেয়ার কথা বলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মো. হারুন বৈদ্য নামে কথিত এক কবিরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৮ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
দণ্ডিত আসামী একই থানার মধ্যম আজমনগর ছুনিমিঝির বাড়ির মৃত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম আজমনগর ছুনিমিঝির বাড়ির মো. হারুন কবিরাজের কাছে এক ব্যক্তি পানির মোটর চুরির বিষয়ে আয়না পড়ার জন্য গেলে হারুণ বলে আয়না পড়া দিতে হলে একজন কুমারী লাগবে। পরদিন ওই ব্যক্তি তার ১২ বছরের কিশোরী নাতনীকে নিয়ে যায় হারুণ বৈদ্যের কাছে। প্রথমে কিছুক্ষণ ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ লিখে দেন। পরে মো. হারুন কবিরাজ নিজের ঘরে নিয়ে তেল মালিশের নাম করে করে কিশোরী ধর্ষণ করেন। ভিকটিমের আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদীয় হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একই বছরের ২৪ জানুয়ারি মামলা করেন।
পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, আটজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে আসামিকে মো, হারুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে।