চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ রবিবার (১৯ জুন) সকাল থেকে শুরু হওয়া দিনভর চালানো অভিযানে ১৮০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া মোট ৩০০টি বসতঘর ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ব ফিরোজশাহ ১ নম্বর ঝিল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত টিম।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ যে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেখানে পুনরায় কেউ যাতে দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য কাটা তার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে গাছ লাগানো হবে।

উচ্ছেদ কাজে জেলা প্রশাসনের পক্ষে সমন্বয় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের ৫জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। প্রথম দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ১৮০টি ঘর উচ্ছেদ করেছি। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
অভিযানে সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট এর অধীনে ৫টি টিম পুরো আকবর শাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজ শাহ কৈবল্যধাম সংলগ্ন রেলওয়ের মালিকানাধীন ১ নং ঝিল এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। এর আগে গ্যাস, বিদ্যুৎমহ বিভিন্ন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, এসি (ল্যান্ড), কাট্টলী; এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, এসি (ল্যান্ড), চান্দগাঁও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সরকার, এসি (ল্যান্ড), আগ্রাবাদ সার্কেল উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদে সিএমপি’র ৭০ জন পুলিশ সদস্য, ২০ জন আনসার সদস্য, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এর স্পেশাল ড্রাইভ টিম, র্যাব-৭ এর ২ টি টিম ছিল।