ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হীরক জয়ন্তীতে স্যার আশুতোষ কলেজে বসেছে প্রাণের মেলা

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্যার আশুতোষ কলেজের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে।

শনিবার (৭জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এ র‌্যালী শুরু হয়। বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়ার হরি মন্দির পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করেন।

স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পর হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে কলেজ মাঠে বসেছে প্রাণে মিলন মেলা।

এ মিলন মেলার কলেজের আয়োজন করেছে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি। শনিবার দিনব্যাপী চলবে নানা আয়োজন।

এতে রয়েছে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, মধ্যাহ্ন ভোজ, দুপুর আড়াইটায় খেলাধূলা, বিকেল ৪টা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ৮টায় র‌্যাফেল ড্র।

.

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন, সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদল, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানও উপদেষ্টা শ্রী জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির উপদেষ্টা ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগো ও স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোদাচ্ছের।

প্রসঙ্গত কানুনগোপাড়া স্বনামখ্যাত দত্ত পরিবারের জৈষ্ট্যসন্তান, ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট রেবতী রমণ দত্ত গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনগণের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের মানসে চট্টগ্রাম থেকে ২০কিলোমিটার দূরে বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়া নিজগ্রামে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ১৪ জুলাই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।

তাঁর শিক্ষাগুরু, অবিভক্ত ভারতের স্মরণীয় শিক্ষাবিদ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নামে কলেজের নামকরণ করেন। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ পদে যিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি যোগদান না করায় উপাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত মাখন লাল নাগ অধ্যক্ষ হিসেবে অধিষ্ঠিত হন।

.

১৯৪০ সালেকলেজে সংস্কৃত ও পালি বিভাগের খোলা হয়। পালি ভাষার অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন সুরোন্দ্রনাথ বড়–য়া। সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন সচ্চিদানন্দ বাবু ও কৃষ্ণ গোপাল চৌধুরী। স্যার আশুতোষ কলেজ চট্টগ্রামের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ বেসরকারি কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত কলেজটি গ্রামাঞ্চলে একটি দর্শনীয় স্থান ছিল।

কলেজের ভবনসমূহ, বিশাল খেলার মাঠ, পাকাঘাট সমেত একাধিক পুকুর, আবাসিক ছাত্রদের ছাত্রাবাস। চট্টগ্রামের অনেক উপজেলা থেকে পড়াশুনার জন্য আসতো এ কলেজে।

১৯৪৫ সালে কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয়। অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন জগৎচন্দ্র চৌধুরী।

১৯৪৬ সালে স্যার আশুতোষের কন্যা এবং জামাতা ও তৎকালের কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর খ্যাতানামা ঐতিহাসিক ড. প্রমথ নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় করেজের বিজ্ঞান ভবনের দ্বারোঘাটন উপলক্ষে কলেজে আগমণ করেন। একই বৎসর দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের স্ত্রী এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস দলের সভাপতি নেলী সেনগুপ্তা কলেজ পরিদর্শন করেন।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশ বিভাগের পূর্বে কলেজে স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত চালু ছিল। ১৯৪৮ সালে কলেজে বাণিজ্য বিভাগ খোলা হয়। বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন বিপ্লবী নির্মল কুমার সেন।

১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, বিজ্ঞানী ড.কুদরৎ-ই-খুদা, বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদেও ডীন ড. কাজী মোতাহের হোসেন, কবি বেগম সুফিয়া কামাল কলেজ পরিদর্শন করেন।

১৯৬৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ফজলুল কাদেরী চৌধুরী, ১৯৬৫সালে তৎকালীন পাকিন্তানের কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী এ.কে খান, বিজ্ঞানী ড. আনোয়ার হোসেন, ১৯৬৭ সালে তৎকালীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এ. আর মল্লিক, মনীষী কাজী মোতাহের হোসেন ও পল্লী কবি জসিম উদ্দীন এ কলেজে শুভাগমন করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print