
হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নগরীর দামপাড়াস্থ জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে।আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারাসহ হাজারো সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেন। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক। এর আগে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা গতকাল রাতে নগরীর পাথরঘাটা সানফ্রান্সিসকো বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় জানাজায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মামুন মিয়া প্রমুখ অংশ নেন।
এ ছাড়া বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন। পরে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে এ বিএনপি নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাজা শেষে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশখালীর জলদী হাইস্কুল মাঠে। সেখানে দুপুর ২টায় তৃতীয় জানাজা এবং বিকাল ৩টায় গুনাগরী ডিগ্রি কলেজ মাঠে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাফরুল ইসলাম চৌধুরী মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।