ভারতের রাজধানীর দিল্লির মেহরুলিতে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন প্রেমিক আফতাব আমীন। জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর অন্য এক নারীকে তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে আসেন তিনি। তখনও শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো ফ্রিজে রাখা ছিল। খবর এনডিটিভির।
অ্যাপার্টমেন্টে শ্রদ্ধার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকার সময় তিনি আরও নারী বাড়িতে নিয়ে আসতেন কি না তা তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ ডেটিং অ্যাপ ‘বাম্বল’ থেকে আফতাবের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
দেশটির পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে হত্যার প্রায় ১৫-২০ দিন পরে আফতাব পুনাওয়ালা একই অ্যাপ ব্যবহার করে আরেক নারীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তার সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন।
আফতাবের প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায়, তার (আফতাব) বাসায় আরও নারী আসা যাওয়া করতেন। এক নারী প্রতিবেশী বলেন, আফতাব কখনও কারো সঙ্গে মিশতেন না, সবসময় দূরে থাকতেন। তাদের বাড়িতে পার্টি হতো, কিন্তু গেট সবসময় বন্ধ থাকত। তার বাড়িতে একাধিক নারী আসতেন, এমনকি দুই-তিন সপ্তাহ আগেও পাঁচ-ছয়জন নারী আসেন।
এনডিটিভি বলছে, আফতাব শেফ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এমনকি তিনি শ্রদ্ধার শরীর টুকরো করার আগে কীভাবে রক্তের দাগ পরিষ্কার করতে হবে এবং দেহ ব্যবচ্ছেদ করতে হবে তা গুগল করেন। তবে হত্যাকাণ্ডে তিনি যে ছুরিটি ব্যবহার করেছেন পুলিশ তা এখনও উদ্ধার করতে পারে নি।
শ্রদ্ধার হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে, আফতাব তার (শ্রদ্ধা) বন্ধুদের সঙ্গে ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো। তবে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ফোন বন্ধ থাকায় শ্রদ্ধার বন্ধুরা আফতাবকে সন্দেহ করতে শুরু করে।
২৮ বছর বয়সী আফতাব আমীন পুনাওয়লার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন ২৬ বছর বয়সী শ্রদ্ধা। তারা মেহরুলিতে লিভ-ইন করতেন। আফতাবকে বিয়ের জন্য চাপ দিতেন শ্রদ্ধা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে ১৮ মে তারিখে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর তার দেহকে করাত দিয়ে ৩৫ টুকরা করেন। টুকরাগুলো রাখার জন্য ৩০০ লিটারের ফ্রিজ কিনেন আফতাব। এরপর টানা ১৮ দিন ধরে রাত ২ টার পর টুকরাগুলো জঙ্গলে ফেলে দিতেন। বর্তমানে জেলে আছেন আফতাব। এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।