
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বিজয় মেলা শেষে বাড়ী ফেরার পথে আজ রবিবার ভোরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা হয় ৬ টি মোটরসাইকেল।
জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হোসেন বলেন, রবিবার ভোররাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ,আব্দুর রহমানসহ আরো ২ দুই যুবলীগ কর্মী। যাদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থা আশাংকাজনক বলে জানা গেছে।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিককে পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তাকেও আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া পাথর মেরে এবং গুলি আহত করা হয় আরো অন্তত ২০ জনকে।
এই ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকা জুড়ে। জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করেছেন আহত নেতাকর্মীরা
এই বিষয়ে জানতে মাঈন উদ্দিন টিটুর ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাষ্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং সবাই জানে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্যে বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বায় জানান।
জোরারগঞ্জ বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের কো চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী।সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরণের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।