
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতােল (চমেক) কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত রোগী ও স্বজনদের উপর হামলা চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তারের পর উল্টো পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচলাইশ থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ৬০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

ডায়ালাইসিস ফি কমানোর দাবিতে গত চারদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভকালে চমেক হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারা। এসময় সেখানে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পাঁচলাইশ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে রোগিদের ধাক্কাথাক্কি করে সড়ক থেকে তুলে দিয়ে মো. মোস্তাকিম নামে এক রোগীকে মারধর করে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সড়ক অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়।মো. মোস্তাকিম নামের এক রোগীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আজ দুপুরে আসামী মো. মোস্তাকিমকে আদালতে হাজির করে পুলিশ রিমাণ্ডের আবেদন করেছে। এ ব্যাপারে কাল শুনানী হবে বলে জানান, আসামী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দীন মজুমদার বলেন, এক রোগীর স্বজন পুলিশের কাজে বাধা দিলে তাকে আটক করা হয়। রোগীদের মারধর করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মানবাধিকার আইনজীবী এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান পাঠক ডট নিউজকে বলেন, পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অতিউৎসাহি ভুমিকার ব্যাপারে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যান্ত জরুরি। এব্যাপারে রাষ্ট্র যথাযথ ভুমিকা পালন করবে আশা করি। তিনি আরও বলেন, সরকারের সাংবিধানিক একটি মানবাধিকার সংগঠন আছে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আর্কষণ করেছি এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।