ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বোয়ালখালীতে দ্রুত কমছে কৃষি জমি

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চোখের সামনেই বোয়ালখালীতে পাল্টে যাচ্ছে কৃষি জমির ধরণ। উপজেলার আরাকান সড়কের দু’ধারে যেসব ফসলি জমিতে ঝুলছে সাইনবোর্ড। ভবন নির্মাণ ও দেয়া হচ্ছে দেয়াল। কিছু দিনের মধ্যেই কোন চিহ্নই হয়ত আর থাকবে না বোয়ালখালী উপজেলার হাজার একর কৃষি জমির!

উপজেলার পশ্চিম শাকপুরার ট্রাকে ট্রাকে ফসলি জমির উপরি ভাগের উর্বর মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য ফসলি জমির উর্বর মাটি বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে জমির উর্বরতা শক্তি নস্ট হওয়ার পাশাপাশি চাষের উপযোগীতা হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।

এলাকাবাসী জানান, দু’একজন ব্যক্তি বিরোধীয় ও সরকারি খাস জমির মাটি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে। সেসব ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মাটি কেটে উপজেলা বিভিন্ন ইটভাটায় ও জায়গা ভরাটের জন্য বিক্রি করছে। এতে পাশবর্তী জমিগুলো চাষের উপযোগীতা হারাচ্ছে বলেও জানান তারা। স্থানীয়দের দাবি প্রতিদিন শতশত ট্রাক মাটি নিয়ে যাতায়াত করায় এলাকা রাস্তাঘাটও নস্ট হয়ে যাচ্ছে।

পশ্চিম শাকপুরার মিলন ডাক্তারের বাড়ী এলাকার এক জমির মালিক মো. ওসমান জানান, তার পৈতৃক ৮০শতক জমি মাটি প্রতি ট্রাক আড়াইশত টাকায় সোহেল নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন। এ জমিতে ৮বছর ধরে চাষাবাদ করছেন না জানিয়ে বলেন, এ জমিতে তিনি প্রজেক্ট করবেন। এছাড়া খতিয়ানে জমির শ্রেণি নাল উল্লেখ রয়েছে স্বীকার করে সংবাদ না করার অনুরোধ করেন তিনি।

এছাড়া ফারুখ নামের এক ব্যবসায়ী জমির মালিকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে পশ্চিম শাকপুরা মনা বাপের টেক এলাকায় জমির উর্বর মাটি উপজেলার হযরত মোহছেন আউলিয়া ইটভাটা ও রিভার ভিউ ইটভাটায় বিক্রি করছেন। ফারুখের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে জানা যায়, ৫/৬দিন আগে মাটি কাটা হয়েছিল। তবে মাটি কাটা এখনো চলছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।

.

জমির উপরিভাগের মাটি কাটা বন্ধে জনসচেতনার বিকল্প নেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু জাফর মো. মঈন উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগের হাতে তেমন একটা আইনী ক্ষমতা না থাকায় আমরা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছি না। তবে এলাকা কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, জমির মালিকরা পুঁজি খাঁটি চাষ করার চেয়ে মাটি বিক্রি করে ৫হাজার টাকা পাওয়াকে লাভ মনে করছেন। এ বিষয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা যদি পদক্ষেপ নেন তবে এটি বন্ধ হতে পারে। এছাড়া কৃষি জমি সুরক্ষা আইন পাশ করতে যাচ্ছে সরকার।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে নীট আবাধি জমি রয়েছে ১৬ হাজার ৯২০একর। এর মধ্যে এক ফসলি জমি ৩হাজার ৫৩২ দশমিক ৪০ একর, দুই ফসলি জমি ১২হাজার ১৫২দশমিক ৪০একর ও তিন ফসলি জমি ১হাজার ১৩৬ দশমিক ২০একর। বর্তমানে তা আবাসন, মিল কারখানা, খাল ভরাটসহ বিভিন্ন কারণে দিনেরপর দিন কমেছে আসছে। এতে কৃষি জমির আবাদ প্রায় বন্ধ হতে চলছে।

২০১৭ সাল নাগাদ ভূমি জোনিংয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কৃষি জমি চিহ্নিত করার কথা বলেছেন।

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আইনে ল্যান্ড জোনিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যাতে কৃষি জমি, শিল্পে ব্যবহারের জমি সুরক্ষা করতে পারি। ল্যান্ড জোনিংয়ের ক্ষেত্রে একটি পাইলট প্রকল্প করার কথাও জানান মন্ত্রী।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগওয়ারি অকৃষি খাতে জমি চলে যাওয়ার প্রবণতা চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি। এ বিভাগে প্রতিবছর ১৭ হাজার ৯৬৮ হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print