ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আ’লীগের এমপিকে অপহরণ করে বিয়ে করলো তরুণী!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

Screenshot 8 4 আ'লীগের এমপিকে অপহরণ করে বিয়ে করলো তরুণী!
.

নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলালকে (বীরপ্রতীক) অপহরণ করে এক তরুণীর বিয়ে করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেনের স্ত্রী রওশন হোসেন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় এ মামলা করেছেন।  এতে স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা, স্নাতকোত্তরে পড়ুয়া ওই তরুণী, সংসদ সদস্যের গাড়িচালকসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হলেন- নাদিয়া আক্তার (২৬), তার ছোট ভাই পূর্বধলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাইফ (২০), উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন, সংসদ সদস্যের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী ফেরদৌস আলম (৪২), কামরুজ্জামান উজ্জ্বল (৪২), কলেজ শিক্ষক নাদেরুজ্জামান স্বপন (৪২), রতন পাল (৩২), ছাত্রলীগকর্মী শাহ আলীম (৩২) এবং সংসদ সদস্যের গাড়িচালক শফিকুল ইসলাম (৪৫)। আসামিদের বাড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা এক সময় সংসদ সদস্যের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তারা সংসদ সদস্যের বিভিন্ন কাজকর্ম দেখাশোনা ছাড়াও মৌখিক নির্দেশে বিভিন্ন অফিস আদালতে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করতেন। এ সুযোগে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

আসামিরা সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে ও তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে দুই কোটি টাকা আত্মসাত করেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি তারা সংসদ সদস্যকে ভুল তথ্য দিয়ে গ্রামের বাড়ি উপজেলার কাজলা গ্রাম থেকে গাড়িতে করে ঢাকায় নিয়ে যান এবং ধানমণ্ডি এলাকায় একটি বাসায় আটকে রাখেন। পরে সংসদ সদস্য বিদেশ চলে গেছেন বলে তার স্ত্রীকে (মামলার বাদী) জানান গাড়িচালক।

মামলার বাদী রওশন হোসেন এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, আসামিরা তার স্বামীকে জিম্মির পর তার স্বাক্ষর জাল করে নাদিয়া আক্তারের সঙ্গে সংসদ সদস্যের বিয়ের একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করেন।

এ ছাড়া স্বাক্ষর জাল করে একটি ভুয়া তালাকনামা বানিয়ে রওশন হোসেনের কাছে পাঠান। তারা পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এসব ভুয়া কাগজ ফটোকপি করে ডাকযোগে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠান। গত ২৭ মার্চ বিকেলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে ঢাকার একটি বাসা থেকে সংসদ সদস্যকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে এবং পরদিন চিকিৎসার জন্য তাকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মেয়ের বাসায় রেখে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট দেশে আনা হয়।

মামলার বিষয়ে আসামি ফেরদৌস আলম বলেন, আমাদের নামে করা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২৭ মার্চ সংসদ সদস্যকে তারা উদ্ধার করেন। অথচ এর আগের দিন ২৬ মার্চ সকালে পূর্বধলা উপজেলা সদরের অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নেত্রকোণার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কথিত অপহরণ ও উদ্ধারের সময়ের মধ্যে সংসদ সদস্য ১৩ মার্চ সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন, ২৩ মার্চ উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনসহ এলাকার অন্তত আটটি সভা ও অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। যার তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।

পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যকে অপহরণ, প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ

ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারেঃ প্রধান উপদেষ্টা

ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

প্রযুক্তিগত সুবিধায় ভবিষ্যতে বিচার ব্যবস্থা আরো সুদৃঢ় হবেঃ প্রধান বিচারপতি

ইসরায়েলিদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি, অস্ট্রেলিয়ায় দুই স্বাস্থ্যকর্মী বরখাস্ত

ইসলামিক দেশগুলোতে কবে থেকে রোজা শুরু, জানাল আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র

মসজিদে ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print