ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

“মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে শেখ হাসিনাকে বিদায় দিতে” : আমীর খসরু

..

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,মানুষ তৈরি হয়ে গেছে বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে শেখ হাসিনাকে বিদায় করার জন্য। আমাদেরকে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে একতাবদ্ধ ভাবে রাস্তায় থেকে ওদেরকে বিদায় করে দিতে হবে।

তিনি বলেন-যারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিবেন তাদেরকে আবারো বলছি সময় আছে, কোন সরকারি কর্মকর্তা, কোন দুর্বৃত্ত রাজনীতিবিদ, কোন লুটেরা ব্যবসায়ী. জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে টিকে থাকতে পারে নাই পারবেও না। এই সংগ্রামে বাংলাদেশের মানুষ জয়ী হবে ইনশাল্লাহ।

তিনি আজ শনিবার (২৬ আগষ্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িস্থ নুর আহমদ সড়কে কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী কালো পতাকা মিছিলপূর্বক বিশাল সমাবেশে ট্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন- একটি দলকে ক্ষমতায় রাখার জন্য কিংবা একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতায় রাখার জন্য যদি জনগণের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেন আজীবন জেলে থাকতে হবে। জরিমানা দিতে হবে বলে হুসিয়ারী করেন।

..

তিনি বলেন,আগামী দিনে যে নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারে অধিনে, সেটাকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য যারা ভূমিকা রাখবে আমেরিকার ভিসা তো বাতিল হবেই সেখানে যে ছেলেমেয়েরা আছে তাদের চলে আসতে হবে, দেশে চুরি করে যে বাড়িঘর করেছে সেগুলো আমেরিকা সরকার নিয়ে নেবে। তাদেরকে বিতাড়িত করবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষও তাদের স্যানশন দেবে সেখান থেকে মুক্তি নাই।

পুলিশ প্রশাসকে উদ্দেশ্য করে আমীর খসরু বলেন তালিকা আমরাও করব। (নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে) কি করবেন না আপনারা? যারা রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করতে আসবে তাদের ছবি তুলে রাখবেন, আশেপাশে আপনাদের প্রতিবেশী যারা আছে সবাইকে বলবেন ছবি তুলতে।

তিনি বলেন, একটা কথা বারবার বলছি বিএনপি ভদ্রলোকের দল এখনো কিন্তু সুশৃংখলভাবে অহিংস্রভাবে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি আমরা প্রতিবাদ করছি কিন্তু এই ধারা যদি চলতে থাকে বাসায় গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা গ্রেপ্তার গায়েবি মামলা মিথ্যা মামলা যদি চলতে থাকে এখন তো প্রতিবাদ করছি,তখন প্রতিরোধ করব। প্রতিরোধ কি জিনিস তখন বুঝতে পারবেন।

.

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষের টাকা দিয়ে কি জন্য গেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়..? আমাদের করের টাকা দিয়ে দলবলসহ, পরিবারসহ দক্ষিণ আফ্রিকায় উপস্থিত হয়েছেন ব্রিকসের নাকি সদস্য হবে। ওখানে ওদের যে একটি অফিসিয়াল ছবি আছে যারা সদস্য বা সদস্য নাই সেই ছবি তোও শেখ হাসিনা নাই। তাহলে শেখ হাসিনা কোথায় ছিলেন.? ওই বাংলাদেশি কিছু আওয়ামী লীগের লোকজনের তো সেখানে আছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যত বাঙালি থাকে তার নব্বই শতাংশ বিএনপি। দশ শতাংশ হচ্ছে যাদের পরিবার এখান থেকে লুটপাট ভাগ পাচ্ছে। যাদের পরিবার লাভবান হচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ সরকারের কাছ থেকে,দূর্বৃত্ত পরায়ন থেকে। এদেরকে নিয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) একটি সভা করেছেন সেখানে তিনি নৌকায় ভোট দিতে বলেছেন। ওরা কিন্তু কেউ ভোটান না ওরা তো আফ্রিকায় থাকে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে- বালাদেশের করের টাকা খরচ করে আপনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন কি নৌকায় ভোট চাইতে..? জনগণের ট্যাক্সে টাকা দিয়ে? সেখানে তিনি আর একটা কাজ করেছেন, এই সভাই তিনি বিএনপিকে মন খুলে গালি গালাজ দিয়েছেন। দেশে যেরকম প্রত্যেকটা মিটিংয়ে তিনি সকাল দুপুর বিকাল বিএনপির গালাগালি করে, ওই দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েই তিনি বিএনপিকে, বেগম খালেদা জিয়াকে, তারেক রহমানকে, বিএনপির সবাইকে প্রাণ খুলে গালি দিয়েছেন।

আমার কথা হচ্ছে মানুষের করের টাকা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে গালাগাল করতে হবে কেন..? সেটা তো আপনি প্রত্যেকদিন বাংলাদেশে বসে দিচ্ছেন সকাল বিকাল দুপুর দিচ্ছেন, এটার জন্য কি দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার দরকার আছে? কারণ হচ্ছে ওখানের কোন জায়গায় ওনার জায়গা হয় নাই। পাত্তা পাই নাই, এইজন্য খড়ের কুড়ের মধ্যে কিছু আওয়ামী লীগারদের নিয়ে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। জনগণ পাশে না থাকলে যা হয় আর কি।

এখানে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আছে। তার নাগরিক অধিকার হচ্ছে কেউ যদি তার নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়, কেউ যদি তার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়, কেউ যদি তার রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেয় সেই দেশের নাগরিকের অধিকার আছে প্রতিরোধ করার। সুতরাং আবারো বলছি দেওয়ালের লিখন পড়তে শিখেন। দেওয়ালের লিখন হচ্ছে শেখ হাসিনার বিদায়। এখনো যারা যারা পড়েন নাই দেওয়ালের লিখন পড়ে নেন।

এদেরকে বিদায় করতে হলে কি করতে হবে উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রশ্ন করে আমীর খসরু বলেন তারেক রহমান সাহেব কি বলেছেন ফয়সালা কোথায় হবে? রাজপথে। কোন বাধা, কোন সন্ত্রাসী, সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী সন্ত্রাসী, লুটেরা, ব্যবসায়ী দুর্বৃত্ত রাজনীতিবিধ বাংলাদেশের মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারবেনা।

আমীর খসরু আরো বলেন ইদানিং কালে ঢাকা তিনটি মিছিলে আমি ছিলাম জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততা আমার রাজনৈতিক জীবনে এইরকম জনগণের স্বতঃস্পুততা আমি কোথাও দেখি নাই। মানুষ ঘরের বারান্দা থেকে গাড়ি থেকে রিক্সা কে হাত নেড়ে স্লোগান দিয়ে ছবি তুলে সাড়া দিচ্ছে।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুবের রহমান শামীম।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু প্রমূখ।

সমাবেশ শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিশাল গণমিছিলটি নগরীর কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক লাভলেইন, বৌদ্ধ মন্দির, মোমিন মোড়, চেরাগী মোড় হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print