চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের কিশোর রায়হান হোসেন রুমন খুনের ঘটনায় ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ্য করে আজ্ঞাত আরো ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিহত রুমনের মা খালেদা আক্তার বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি করেছেন। মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিনসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে চারজন মামলার গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর কবির।
তিনি বলেন, নিহত রুমনের মা খালেদা আক্তার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
উল্লেখ গতকাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মিরসরাই উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের আজমপুর বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে নিহত হন রায়হান হোসেন রুমন নামে এক কিশোর। সে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে কাজ করতো। সংঘর্ষের পরপরই নিহত রুমনকে নিজের কর্মী দাবী করে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রলীগ। তবে মামলার বাদী খালেদা আক্তার বলেছেন তার ছেলে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ১৫ জন নেতা-কর্মী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের আরো ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের করেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা।