ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চলে গেলেন দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিশিষ্ট লেখক ও দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। গত কিছুদিন থেকে শ্যামলীস্থ একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  আগামীকাল বুধবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

রেজোয়ান হোসেন সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাঈল জেলার এলাসিন গ্রামে। পিতা আতিকুল হোসেন সিদ্দিকী। মাতা হাওয়া সিদ্দিকী। দু’জনই বহু আগে জান্নাতবাসী হয়েছেন। এসএসসি পাস করেন ১৯৬৮ সালে। বলতে গেলে তার পর থেকেই জীবন সংগ্রাম শুরু। ১৯৬৯ সালে করটিয়ার সা’দত কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার পড়াশোনার গতি রুদ্ধ হয়। হুলিয়া হওয়ার কারণে তিনি চলে যান চট্টগ্রামে। সেখানে ছিলেন বেশ কিছুদিন। তার চাচা মোফাখখর হোসেন সিদ্দিকীর আশ্রয়ে। এরপর রেজোয়ান সিদ্দিকী চলে আসেন ঢাকায়। জীবন সংগ্রামের এক ভিন্নমাত্রা শুরু হয় তখন থেকেই।

ঢাকায় এসে কী করবেন, কোথায় থাকবেন কোন নিশ্চয়তা ছিল না। প্রেসে কম্পোজিটরের কাজ নেন। প্রাইভেট টিউশনি করেছেন। বাংলাবাজারে গ্রুফ দেখেছেন। তারপর পড়েছেন জগন্নাথ কলেজে। সেখানে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন শওকত আলী, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আবদুল মান্নান সৈয়দ, আহমদ কবীর, শহীদুর রহমান প্রমুখকে। তাঁরা রেজোয়ান সিদ্দিকীকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আর তিনিও অবিরাম তাদের কাছ থেকে শিখে শিখে নিজেকে তৈরি করেছেন।

সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকেছেন ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক বাংলায়। প্রুফ রিডার হিসেবে শুরু করেছিলেন। সেখানে শেষে ছিলেন সিনিয়র সহকারী সম্পাদক। একই সঙ্গে ছিলেন ফিচার এডিটর, সিনে সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক। খবরের কাগজে সাংবাদিকতার এমন কোন পদ নেই যে পদে কাজ করেননি তিনি। এখন দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। মাঝখানে প্রেষণে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন চার বছর। সফল হওয়াই তার জীবনের হবি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ১৯৭৩ সালে। ১৯৭২ সাল থেকেই ছোট গল্পকার ও কলাম লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন রেজোয়ান সিদ্দিকী। লেখাপড়া করেন সাহিত্যে। কিন্তু এইচএসসি পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র। চেয়েছিলেন বড় লেখক হবেন। তাঁর গবেষণা, প্রবন্ধ, কলাম, উপন্যাস, নাটক, ফিকশন কোনটা যে টিকবে তিনি ধারণাও করেন না। তা সত্ত্বেও এই সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী কলম-সৈনিক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ১৯৯৫ সালে। হল্যান্ডের আইএসএস (ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল স্টাডিজ) থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন বিষয়ে তিনি অর্জন করেছেন স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা।

উপন্যাস, গল্প, নাটক, বিজ্ঞান, প্রকৃতি-পরিবেশ, ফিকশন, অনুবাদ, সংকলন- সব কিছু মিলে বায়ান্নটির বেশি বই। এখনও অবিরাম লিখে যাচ্ছেন রেজোয়ান সিদ্দিকী। জীবন-জীবিকার লড়াইও অব্যাহত আছে। জীবনের এই যাত্রাপথে রেজোয়ান সিদ্দিকীর প্রধান অবলম্বন সততা, আন্তরিকতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা। তার জীবনে এসব বিষয় প্রশ্নাতীত। নত হতে শেখেননি রেজোয়ান সিদ্দিকী।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print