
‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’ প্রবচনটি এবছর টের পাচ্ছে দেশের মানুষ। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় এবার যেন বাঘ পালানোর অবস্থা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কনকনে শীতে সর্বত্র নেমে এসেছে স্থবিরতা। মাঘের নবম দিনেও তেমনভাবে সূর্যের দেখা মেলেনি অনেক জেলায়।
চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ২১ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) চট্টগ্রামসহ কয়েক জেলায় সূর্য্যের মুখ দেখা যায়নি।
রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিললেও কনকনে ঠাণ্ডা কমেনি। রাজধানীতে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

রাজধানীতে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ তীব্র শীতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে যারা ওভার ব্রিজে কিংবা ফুটপাতে রাত যাপন করেন, হিমেল হাওয়ায় তাদের অবস্থা বিপর্যস্ত। কাউকে কাউকে দেখা গেছে দানে পাওয়া কম্বল মুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে।
জীবিকার প্রয়োজনে সব কিছু উপেক্ষা করে ছুটছে মানুষ। কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। সড়ক মহাসড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শীতের দাপটে সারা দেশে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, আজ ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ চার বিভাগ ছাড়াও মৌলভীবাজার, ভোলা, চট্টগ্রাম জেলাতেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।