ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির রহস্যজনক মৃত্যু, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ইব্রাহীম নেওয়াজ।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ইব্রাহীম নেওয়াজ (৩০) নামে সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।  এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষের দাবী ‘আত্মহত্যার অপচেষ্টারত অবস্থায়’ ইব্রাহিমকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৩ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অপর ৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতরে এ ঘটনা ঘটলেও তা জানাজানি হয় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে।

মারা যাওয়া ইব্রাহীম নেওয়াজের বাড়ি রাঙামাটি পৌর সদরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। রাউজান থানার একটি মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি। চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাজা পরোয়ানামূলে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন ইব্রাহিম।

কারা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতরে বন্দি গণনার সময় একজন কম পাওয়া যায়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর খাদ্য গুদামের সামনে চৌবাচ্চার টিনশেডের রডের সঙ্গে প্লাস্টিকের বস্তা ও কম্বলের বর্ডারের অংশ দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ইব্রাহীম নেওয়াজের মামাতো ভাই নাইমুর রহমান তুর্য বলেন, ‘আমার ভাইকে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর মধ্যে জেল সুপার হঠাৎ ফোন করে জানান আমার ভাই মারা গেছেন। এরপর সকালে আমরা কারাগারে যাই। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।

পারিবারিক আলোচনা শেষে এ ঘটনায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কয়েদির মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কেউই সাড়া দেননি।

একটি সূত্রে জানা গেছে, কয়েদির মৃত্যুর ঘটনাকে ‘অপমৃত্যু’ উল্লেখ করে কারা কর্তৃপক্ষ নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছে। তাতে ‘সাজাপ্রাপ্ত বন্দি মৃত্যুর’ বিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেনের একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আত্মহত্যার অপচেষ্টারত অবস্থায় কয়েদিকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে কারা হাসপাতালের সহকারি সার্জনের পরামর্শে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিবেদনে ‘ফাঁসিতে ঝুলে’ মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।

এদিকে কারা অভ্যন্তরে কয়েদির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) টিপু সুলতানকে প্রধান করে বিভাগের আরও তিন জেলা কারাগারের তিন জেল সুপারকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। তবে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।

এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রুবেল দে নামে এক হাজতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। ওই ঘটনায় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আছহাব উদ্দিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের স্ত্রী। মামলার আবেদনের ১২ দিন পর গত ৩ মার্চ নির্যাতনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিরূপণের জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print