
সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপনের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সেটা অপসারণের দাবী জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের গণমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আদর্শিক চেতনার একেবারেই বিপরীত। কোন মুসলমান মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বিশ্বাস করলে বা এমন ভাবনা অন্তরে পোষণ করলে, তার ঈমান থাকবে না। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এমন মূর্তি স্থাপনের চাহিদা ও সুযোগ, কোনটাই নেই। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। অবিলম্বে এই মূর্তি অপসারণের দাবী জানিয়ে হেফাজত আমীর বলেন, অন্যথায় ঈমান, আক্বীদা ও ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষ্যে মূর্তি অপসারণের দাবীতে প্রয়োজনে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদ পত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি এ হুঁসিয়ারী করেন।
তিনি বলেন, যারা সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন করেছেন, তারা বাংলাদেশের মানুষের মনে হয়তো এমন একটা বিশ্বাস, ভাবনা তৈরি করতে চাচ্ছেন যে, আমাদের বিচারকরা গ্রিক দেবির অনুসারী। দেবির স্বর্গীয় আইন আর আদেশ কার্যকর করাই আমাদের বিচারকদের কাজ। অর্থাৎ- বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জনগণের বিশ্বাস বা ঈমানের কোনই মূল্য নাই; যেটা এই কোটি কোটি মানুষের কাছে আইন, নীতিনৈতিকতা ও সামাজিক বিধিবিধান উৎপত্তির ক্ষেত্র ও মানদন্ড হতে পারে। গ্রিক দেবিই আমাদের একমাত্র আরাধ্য। পাশাপাশি এই দৃশ্য নিত্যদিন বাংলাদেশের মানুষ দেখবে, যাতে গ্রিক দেবির প্রতি তাদের ভক্তি ও শ্রদ্ধা আরো নিবীড় হবে, এটাই হয়তো তাদের আশা। তাছাড়া গ্রিক দেবী স্থাপনকারীরা থেমিসের গায়ে শাড়ি জড়িয়ে এই দেবীকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য বলে প্রমাণ করারও একটা অপচেষ্টা চালিয়েছেন।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, এটা কেবল সুপ্রিমকোর্টের বিচারক, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে হেয় ও অপমান করা নয়, বরং কোটি কোটি মুসলমানকে ঈমানহারা করার এবং বাংলাদেশের মুসলিম ঐতিহ্য ও পরিচিতি মুছে ফেলার সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।