Search
Close this search box.

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে পানি, তলিয়ে গেছে ফেনী-কুমিল্লা অঞ্চল

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

টানা ভারি বর্ষণে তীব্র আকার ধারণ করেছে বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে এ উপজেলার ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। পানিবন্দী রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। পুরোপুরি বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে এসব এলাকা। বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্কও।

বিবিসি সূত্রে জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও। বন্যায় সেখানে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সেখাকার বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দিয়েছে ভারত। ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতীর জেলা প্রশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা তার সরকারি এক্স একাউন্টে (সাবেক টুইটার) এ কথা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পানি ঢুকে ডুবছে ফেনীর নিম্নাঞ্চল। এই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এই এলাকায় ১৯৮৮ সালের পর বন্যা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি আগে কখনো।

ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সবার কল্পনার বাইরে। এখন অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়েছে। তাদেরকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড। ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পানিতে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, খোয়াই, ধলাই, মুহুরী, হালদা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকতে পারে। বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে মাঠে নামিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জানা যায়, ফেনীর জেলার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর প্রভাবে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ার প্রায় সব এলাকা তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে ওইসব এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন নৌকায় করে পানি বন্দীদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যান। এছাড়াও সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা পানি বন্দীদের উদ্ধারে স্পিডবোট নিয়ে মাঠে নামে।

এছাড়াও কুমিল্লা, নোয়াখালী- চট্টগ্রামেও বাড়ছে পানি। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির পাশাপাশি ঢলের পানি বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কুমিল্লা সদর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাড়িঘর, ফসলি জমি রাস্তা ঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে নোয়াখালী জেলায়ও। জেলা সদর, সোনাইমুড়ীসহ বেশ কিছু এলাকায় তৈরি হয়ে তীব্র জলাবদ্ধতা। নোয়াখালীর মাইজদীতে হাঁটুপানি জমেছে শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায়। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানির নিচে।

তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের ত্রিপুরায় সাত জনের মৃত্যু ও দুজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। বৃষ্টিপাতের ফলে হাওড়া, খোয়াই, মুহুরী ও ঢলাইসহ রাজ্যের প্রায় সব নদীই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এমন পরিস্থিতিতেই ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দেয়া হয়েছে রাজ্যটির প্রশাসক। এই বাঁধ খুলে দেয়ায় ভারতের পানি ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। যা সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে খুলে দিয়েছিল ভারত।

গোমতী জেলার জেলাশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা তার সরকারি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যাণ্ডেলে জানিয়েছেন যে, গোমতী নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের জলস্তরও বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছিল। বাঁধ বাঁচাতে গেট খুলে পানি ছেড়ে দিতে হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর বলেছে, পুরো ত্রিপুরা রাজ্যেই আগামী দু’দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্ক বার্তায় জানানো হয়েছে, যে পশ্চিম ত্রিপুরা ও খোয়াই জেলায় বুধবার ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ওই দুই জেলায় লাল সতকর্তা জারি করা হয়েছে। বাকি ছয়টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে।

সর্বশেষ

১০৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী সরকার

রাহুল গান্ধীকে প্রাণনাশের হুমকি

একটাই লক্ষ্য, প্রতিটি ম্যাচ জিতবোঃ শান্ত

ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েলিদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব

মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবেঃ উপদেষ্টা নাহিদ

পিআইবির নতুন মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ

আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ৫ ও আহতদের সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত’

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print