ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল

ফেনীতে ৭০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ১৩ হাজার পরিবার

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পূর্বের ভাঙ্গা বাঁধের ২৪টি স্থান দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। এতে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ৭০ গ্রামে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৩ হাজার পরিবার। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফেনী জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বের ২৪টি স্থান দিয়ে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ৭০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। এতে ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় যা এ যাবত কালের সর্বোচ্চ।

ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলগাজী উপজেলা বাজারে উত্তর অংশে হাটু পরিমাণ পানি থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় জীবন বাঁচাতে ছোট শিশুকে কোলে নিয়ে নৌকায় করে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে চলে যেতে দেখা যায় স্থানীয়দের।

ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘনিয়ামোড়ার গ্রামের মো. মনির আহমেদ ভূঁইয়া জানান, ১৯৮৮ সালে একবার ভয়াবহ বন্যায় বাড়ি ঘরে পানি উঠেছিল। এবারের বন্যা তার চেয়ে ভয়াবহ। বাড়িঘরে গতবারের চেয়ে বেশি পানি উঠেছে। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি।

ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের ঘনিয়ামোড়ার গ্রামের কৃষক মো. জামাল উদ্দিন জানান, আমার বাড়ি থেকে আসার পথে এক গলা পানি ও ঘরে কোমর পরিমান পানি উঠেছে। আমার তিনটা গরু ছিল একটা গাভি পানিতে ডুবে গরু মারা গেছে। বাকিগুলোও যায় যায় অবস্থা। আমার ৪৫ বছর বয়সে এত পরিমান পানি দেখি নাই।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবছর এসময় এলেই কয়েক দফা বন্যার পানি উঠে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে আমরা এ মাসে কয়েকবার পানিতে ডুবে ভোগান্তিতে পড়ছি। আমরা ত্রাণ চাই না, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ চাই।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদ শাহারিয়ার জানান, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পূর্বের ভাঙ্গা বাঁধের ২৪টি স্থান দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। পানি নেমে গেলে বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনগণের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় খবারের ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print