পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান খানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎ শেষে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বলেন, “আমরা আদিবাসী সম্প্রদায় এবং সব বাংলাদেশির পাশে আছি। তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং জাতিয় পরিচয়ে তাদের অমূল্য অবদানকে আমরা স্বীকৃতি জানাই। আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করতে হবে, যেন তারা বৈষম্য, প্রান্তিককরণ এবং সহিংসতা থেকে মুক্ত থাকতে পারে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়তে, সেখানে থাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর ও অধিকারকে রক্ষা করতে হয়।”
মার্কিন প্রতিনিধিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্যবাসীর পক্ষে সারা বাংলাদেশের মানুষ নিবেদিত রয়েছেন। পাহাড়ের মানুষের কিছু হলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাসহ সমগ্র বাংলাদেশের জনতা সোচ্চার হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম, তাই পার্বত্য মানুষের কল্যাণে মানবিকতার মূল্যবোধ সবারই জেগে ওঠে। এটা পার্বত্যবাসীদের জন্য অত্যন্ত সুখের ও আনন্দের।
সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে জানিয়ে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এ দেশটা আমার ও বাংলাদেশটা আমার প্রিয় দেশ। এখানে ভেদাভেদ বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চাই। পরিবেশ রক্ষায়, ইকো ট্যুরিজম এবং বাংলাদেশিদের আধুনিক ও সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।
আলোচনাকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মো. মুশফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।