চট্টগ্রামে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির স্থাপনা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা মামলায় (চট্টগ্রাম-৬) রাউজানে আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম প্রকাশ জুইন্ন্যার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে চট্টগ্রাম নগর এবং জেলা মিলিয়ে মোট পাঁচটি মামলায় তাকে গ্রফতার দেখায় পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়।
আদালতে ফজলে করিমের শুননিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়। ভোর ৫টা থেকে আদালত চত্বরের আশেপাশের এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
এ ছাড়া পাঁচলাইশ চকবাজার এবং চান্দগাও থানার তিনটি মামলা এবং রাউজান থানার আরেকটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।
চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্করের আদালতে তোলা হয় তাকে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, অগ্নিসংযোগ, হত্যা চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে গত ২৩ ও ২৫ আগস্ট রাউজান থানায় দুটি মামলা হয়। মামলা দুটি করেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের ১০৩ নম্বর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন ও ২০৪ নম্বর শাখার সহ সভাপতি মো. জোহেল উদ্দিন।
ফজলে করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে।
ফজলে করিমের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, সংঘর্ষসহ বিভিন্ন অভিযোগে চট্টগ্রামের রাউজান, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, কোতয়ালী থানাসহ আদালতে কমপক্ষে ১০টি মামলা হয়েছে।