রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মাজহার বলেছেন, ব্ন্দর শুধুমাত্র ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয় নয়, এটি একই সাথে ভূ-রাজনৈতিক এবং সামরিক বিষয়ও। এই সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে একটি সমন্বিত বন্দরনীতি প্রনয়ন করতে হবে।শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘চট্টগ্রাম বন্দর: বাস্তবতা ও সংস্কার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
ইংরেজী দৈনিক দ্যা পিপলস ভিউ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তেব্য ফরহাদ মাজহার চট্টগ্রামের বন্দর ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের উদ্যোগ নিতে হবে যারা বন্দর সম্পর্কে ভালো জানেন, একত্রিত হোন। দেশের স্বার্থ সংরক্ষন করে এমন একটি নীতির বাস্তবতা আছে, চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করেই বন্দরনীতি হওয়া প্রয়োজন।
দ্যা পিপলস ভিউ’র নির্বাহী সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক সদস্য(এডমিন) জাফর আলম, চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তারেক হাসান, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন, বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের আহবায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক মিয়া মোহাম্মদ আরিফ ও শামসুদ্দিন ইলিয়াস।
পিপলস ভিউ’র ডেপুটি এডিটর সামসাদ সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, বন্দরে বিগত সরকারের উন্নয়নের লুটপাটের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বিগত সরকারের নিয়োগ করা অপারেটররা কোন বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছে তা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। বর্তমান অপারেটরদের বম্দর থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানান বক্তারা।
বন্দরের সেবার মান উন্নত করার বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়ে বক্তারা বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকে বন্দর সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এখনই শুরু করতে হবে।
ফরহাদ মাজহার তার বক্তেব্যে আরো বলেন, দেশে এতদিন ব্যবসার নামে লুটপাট চলেছে। দেশে এখন আর কোন ব্যবসায়ীর প্রয়োজন নেই, আমাদের প্রয়োজন বিনিয়োগকারী। চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবসা বান্ধব নয়, বিনিয়োগ বান্ধব করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মাজহার বলেন সরকার প্রধানের উচিত ছিলো নিজের এলাকা চট্টগ্রামে এসে সাধারন মানুষসহ সবার সাথে কথা বলা।