মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতের মুদ্রার ব্যাপক দরপতন হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভারতীয় রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। খবর খালিজ টাইমসের।
খালিজ টাইমেসর খবর অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে। এর সঙ্গে ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে বৈদশিক মুদ্রা তুলে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারী। এই দুই কারণে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) প্রতি ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দাম অবমূল্যয়ন হয়ে ৮৪-এর নিচে নিমে গেছে।
শুক্রবার প্রতি ডলার ৮৭ দশমিক ০৭ রুপিতে বেচাকেনা হয়েছে, যা সর্বকালের সর্বনিম্ন। তবে সবশেষ শুক্রবার ভারতীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এটি ৮৪ দশমিক ০৪২৫-এ লেনদেন হয়েছে।
বেশ কয়েক মাস ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরবিআই ডলারের বিপরীতে রুপির মান ধরে রাখতে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তাই গতকাল রুপির এই দরপতনকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দুই সপ্তাহ আগে রুপির দাম ডলারের বিপরীতে প্রায় ৮৩ দশমিক ৫০ পর্যন্ত উঠেছিল। তবে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের প্রভাবে তেলের দামবৃদ্ধি, শেয়ার বাজার থেকে বৈদশিক মুদ্রা উত্তোলন এবং মার্কিন সুদহারে বড় হ্রাসের আশা ফিকে হওয়ায় নিকট ভবিষ্যতে ডলারের বিপরীতে রুপির ঘুরে দাড়ানোর সম্ভবনা কম।
গত ৯ সেশনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় শেয়ার বাজারে সমানে শেয়ার বিক্রি করেছেন। চলতি অক্টোবরেই এখন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
গত দুই মাসে মুদ্রা বাজারে বেশ কয়েক বার হস্তক্ষেপ করেছে আরবিআই। মূল লক্ষ্য ছিল ডলারের বিপরীতে রুপির মান ধরে রাখা। তবে গত সোমবার দেশের ব্যাংকগুলোকে অনানুষ্ঠানিকভাবে রুপির ওপর বড় বিনিয়োগ এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে ভারতীয় রুপির দাম কমলেও অন্যান্য এশীয় মুদ্রার দাম কিন্তু ঠিকই বেড়েছে। গত দুই মাসে অন্যান্য এশীয় মুদ্রার দাম ০ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
ভারতের বৈশ্য ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান ভিআরসি রেড্ডি, বলেন, সামনের দিনে রুপির ওপর আরও কিছুটা চাপ পড়তে পারে। তবে রুপিকে একটি স্থিতিশীল মুদ্রা হিসাবে দেখাতে আরবিআই সামান্য অবমূল্যায়ন হতে দিতে পারে।